ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জেলাগুলিকে বলছি দয়া করে রেফারেল কেস কমান। গর্ভবতী মাকেও আপনারা ক্রিটিক্যাল কেস বলে রেফার করে দিচ্ছেন। তিনি যখন দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা যাত্রা করে কলকাতায় এসে পৌঁছছেন অপারেশনের আগেই মারা যাচ্ছেন। এই ধরনের জন্য যে রেফার করছেন তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেন গর্ভবতী মহিলাদের এভাবে রেফার করা হবে? আগে বাড়িতেই সন্তান জন্ম নিত। এখন যদি ৯৯ শতাংশ ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি হয় সেক্ষেত্রে কেন রেফারের বিষয়টি থাকবে!”
রেফারের ঘটনা যেগুলির জন্য গর্ভবতী মায়ের মৃত্যু হয়েছে সেগুলির ক্ষেত্রে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন স্বাস্থ্য সচিবকে পরিসেবা সংক্রান্ত বিষয়গুলি সামনে থেকে খতিয়ে দেখার জন্য সারপ্রাইজ ভিজিটের পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোথাও যাতে কোনও গাফিলতি থাকে না থাকে সেই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার কথাও বলেন তিনি। গর্ভবতী মহিলার ডেলিভারির সময় যদি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে জেলা হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। ভিডিয়ো কলে সাহায্যও নিতে পারেন চিকিৎসকরা।
স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী…
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ফেরানো যাবে না, আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যে সমস্ত হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে জেলা শাসকদের নজরদারি চালানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও ব্যক্তির কাছে যদি স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকে এবং তিনি তা এমার্জেন্সির জন্য নিয়ে যেতে না পারেন সেক্ষেত্রে তাকে ভর্তি নিতে হবে এবং পরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংক্রান্ত নিয়মবিধি পূরণ করতে পারবেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।