জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া জঙ্গলে ফাঁকা নির্জন জায়গায় চন্দ্রকোনা থানার (Chandrakona Police Station) পুলিশের পক্ষ থেকে উদ্ধার হওয়া নিষিদ্ধ শব্দবাজি (Banned Firecrackers) নিষ্ক্রিয় করার কাজ করা হয়। কালীপুজোর আগে চন্দ্রকোনা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি। আর সেই শব্দবাজি শনিবার দুপুরে চন্দ্রকোনার ধামকুড়িয়া জঙ্গলে একটি নির্জন জায়গায় তিন দফায় নিষ্ক্রিয় করা হয়। পুলিশের নিষ্ক্রিয় করা শব্দবাজির কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে ঘটনাস্থলে। রবিবার সকালে পার্শ্ববর্তী লালগড় (Lalgarh) গ্রামের কয়েকজন বালক ধামকুড়িয়া জঙ্গলে পুলিশের নিষ্ক্রিয় করা শব্দবাজির ঘটনাস্থলে খেলাধূলা করতে যায়। হঠাৎ সেখানে পড়ে থাকা বেশকিছু শব্দবাজি কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে সেগুলি ফাটাতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। শব্দবাজি ফাটাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয় লালগড় গ্রামের বাসিন্দা শিবা ঘোষের নয় বছরের ছেলে সায়ন ঘোষ।
সায়নের বামদিকের চোখে গুরুতর চোট পাওয়ায় তাকে তৎক্ষনাৎ উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে (Chandrakona Gramin Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে জখম ছাত্রের বাড়িতে যায় পুলিশ। গতকাল যে জায়গায় নিষ্ক্রিয় করা হয়েছিল শব্দবাজিগুলি সেখানেও যায় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়, গতকাল বোম্ব স্কোয়াড, দমকল বিভাগের উপস্থিতিতে তিন দফায় শব্দবাজিগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয় নির্জন জায়গা দেখেই। দু’একটা পড়ে থাকলে তা কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ফাটানোর কারণেই এরকম দুর্ঘটনা ঘটল।
তবে ওই ছেলেটির পরিবারের আর্থিক পরিস্থিতি ভালো না থাকায় তার চিকিৎসার সমস্ত খরচের ব্যবস্থা পুলিশের তরফে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে যাতে আর কোনও বালক এরকম পরিত্যক্ত বাজিতে হাত না দেয়, সে ব্যাপারে গ্রামবাসীদের সতর্ক করে দেয় পুলিশ।
