Purulia School : বন্ধ সংস্কারের কাজ, ক্লাসরুম ছেড়ে পঠনপাঠন চলছে মন্দিরে – students of a school of purulia do classes under tree


West Bengal News : ক্লাস রুম (Class Room) আছে। আছে শিক্ষকও (School Teacher)। কিন্তু, বিদ্যালয় সংস্কার নিয়ে টানাপোড়েন চলায় পঠন পাঠন চলছে কখনও গাছের তলায় আবার কখনও পাশের হরি মন্দিরে (Temple)। আর মিড ডে মিলের খাবার খেতে হয় গাছের নীচে বসেই। পুরুলিয়ার (Purulia School) আড়ষা থানা এলাকার রাধানগর গ্রামে ধরা পড়েছে এই ছবি।Kalyani Municipality : সন্ধ্যার পর ধোঁয়ার চাদরে ঢাকছে এলাকা, সমস্যায় এলাকাবাসী
গাছের তলায় চলছে ক্লাস
ওই বিদ্যালয়ের ছাদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে পড়েছিল। যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই ব্লক প্রশাসনের তরফে সেই ছাদ সংস্কারের জন্য ভেঙে ফেলা হয়। এর জন্য তাদের তরফে তিন লাখ টাকার কিছু বেশি বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু গ্রামবাসীদের দাবি, শুধু টিনের ছাদ দিলেই হবে না, পুরো বিদ্যালয় ভবনেরই ঠিকভাবে সংস্কার করতে হবে । এরপরই শুরু হয় টানাপোড়েন। তাই অর্থ বরাদ্দ হলেও বিদ্যালয় সংস্কারের কাজ হয়নি। ফলে বিপাকে পড়েছে ৪১ জন পড়ুয়ারা । কোনওমতে ক্লাস চলছে পাশের হরি মন্দিরে। আবার কখনও গাছের তলায়।Purulia News : গ্রামে নেই কোনও বুথ, ঝুঁকি নিয়ে রেললাইন পার করে ভোট দিতে যান বাসিন্দারা!
কী বলছেন প্রধান শিক্ষক?
এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিতাইচন্দ্র মাঝি বলেন, “২০১৭ সালে আমি এই বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দিই। তখন থেকেই বিদ্যালয়ের অবস্থা বেহাল। এই বছরের মার্চে সংস্কারের জন্য ছাদ ভাঙা হয় কিন্তু টানাপোড়েনের জেরে কাজ এখন বন্ধ আছে।”

গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি
ওই চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর দে বলেন, “বিদ্যালয়টির ছাদ সংস্কারের জন্য যখন ভাঙা হয় তখন দেওয়ালে একাধিক ফাটল দেখা যায়। আমরা চেয়েছিলাম টিনের ছাদ দিতে কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। কিন্তু ওই নড়বড়ে দেওয়ালের উপর ছাদ ঢালাই সম্ভব নয়।’ গ্রামের সোমনাথ মাঝি, ধীরেন টুডু, ভজেন্দ্র মাঝিরা বলেন, “আমাদের একটাই মাত্র স্কুল। এখানে শুধু টিনের ছাউনি দিলেই হবে না। পুরো বিদ্যালয় ভবনটি ভালো করে তৈরি করতে হবে।”Malda School: স্কুলেই ন্যায্যমূল্যের দোকান, পড়ুয়ারা দোকানি! মালদায় ‘মগের মুলুক’ ঘিরে বিক্ষোভ
আড়ষা ব্লকের BDO শঙ্খ ঘটক বলেন, “আমরা গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে এই অর্থে পুরো বিদ্যালয়ের সংস্কার সম্ভব নয়। কিন্তু তাঁরা বুঝতে চাইছেন না। তবু আমরা গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করছি শীঘ্রই সমস্যা মিটে যাবে।” কিন্তু, কবে মিটবে। সেই দিকেই এখন তাকিয়ে কচিকাচারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *