স্থানীয় সূত্রে খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের টেপাগাঁও এলাকায় এক দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই দুজনকে বাইরে বের হতে দেখা যায়নি। মৃত নান্টু রায়ের দাদা মন্টু রায় জানান, এদিন সকালে বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকির পরেও ওঁদের কোনও সাড়া মেলেনি। এরপর ঘরে তাঁদের সন্তানের কান্নার শব্দ শুনতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে জানলা খুলে দেখা যায়, নান্টুর দেহ ঝুলে রয়েছে। অপরদিকে সোমার দেহ বিছানায় নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবারের সদস্যরা। স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “পাড়ার লোক গিয়ে দরজা ভেঙে ঢোকে। একজন গলা ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল। আর ওঁর স্ত্রীর দেহ বিছানার উপর পড়েছিল। ওঁদের মধ্যে কোনো সমস্যা ছিল কিনা সেটা আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা কোনও ঝামেলার কথা শুনিনি।” পুরো ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানার দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Islampur Sub Divisional Hospital) পাঠায়। তবে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ব্যক্তি নাকি দুজনে মিলে আত্মহত্যা করেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতার ঠাকুমা জ্যোৎস্না হালদারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ঐ দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। অনেক বার মেয়েকে নিয়ে বাড়িও চলে এসেছেন তাঁরা। কিন্তু তারপরেও অশান্তি থামেনি। এই অশান্তির জেরেই সোমাকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হয়েছে নান্টু এমনটাই অভিযোগ মৃতার ঠাকুমার।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে দুজনেই আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই সঠিকভাবে বলা যাবে। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে চোপড়া থানার পুলিশ।