উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালে সারদা মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন DGP রজত মজুমদারকে CBI গ্রেফতার করেছিল। দু’হাজার কোটি টাকার সারদা মামলায় (Saradha Scam Case) তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ফ্রেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়। যে সময় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, রজত মজুমদার ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তৎকালীন সহ সভাপতি। সে সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সারদার ৩৫ কোটি টাকার সম্পতি বাজেয়াপ্ত করেছিল।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সারদা মামলা নিয়ে করা একটি মন্তব্য হইচই ফেলে। তিনি জানিয়েছিলেন, নতুন করে শুরু করা ED-র এই তদন্ত যেন কোনওভাবেই সারদার পুরনো মামলার মতো ধীর গতিতে না এগোয়। এরপরই তদন্তে আরও কিছুটা সক্রিয় হয়ে উঠল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামীদিনে প্রাক্তন এই IPS অফিসার রজত মজুমদারের থেকে সারদা মামলার আরও কিছু গোপন তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলেও অনুমান তদন্তকারীদের।
বলা বাহুল্য আট বছর পর ফের সারদা মামলায় নতুন করে তদন্ত শুরু হল। বেআইনি এই অর্থলগ্নি সংস্থার দ্বারা প্রতারিত আমানতকারী ও গ্রাহকরা এখনও টাকা ফেরত পাওয়ার আশায়। কিন্তু, এত বছর কেটে যাওয়ার পর তদন্তের উপর কার্যত আস্থা হারিয়েছেন অনেকেই। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদায় বহু কর্মী তাদের টাকা আত্মসাৎ করে বসে রয়েছেন। সংস্থার কর্তা সুদীপ্ত সেন যদিও জেলবন্দি। ফলে নতুন করে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন DG-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার ঘটনায় ফের একবার তদন্তে নড়াচড়া হতে পারে বলে আশা করছেন তাঁরা।