যদিও সৌমেন্দু অধিকারী কোর্টের নির্দেশে রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করতে পারবে, কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না। তবে দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে আলাদা করে কিছু বলতে চাননি দিব্যেন্দু। তবে এর আগে সৌমেন্দু দাবি করেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাঁকে এইসব মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
যদিও পুলিশের দাবি, কাঁথি থানার (Contai Police Station) পথবাতি দুর্নীতি সহ বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা রয়েছে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে আগেও বেশ কয়েকবার সৌমেন্দুকে ডাকা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি সব প্রশ্নের উত্তর দেননি বলে পুলিশের দাবি৷ সেই কারণেই, তদন্তের স্বার্থে বাকি প্রশ্নের সদুত্তর পেতেই সৌমেন্দুকে জেরা বলে পুলিশের দাবি৷ যদিও পুলিশি জেরার ঘটনায় অতীতে ‘প্রতিহিংসা’র অভিযোগ এনে সৌমেন্দু (Soumendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, “প্রতিহিংসা থেকেই মিথ্যে হয়রানি করা হচ্ছে৷”
প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। পুরপ্রধান থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পুরসভার বিরুদ্ধে। একের পর এক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। কাঁথি পুরসভার শ্মশানে স্টল দুর্নীতি মামলা, সারদা টাকা দুর্নীতি, ত্রিপল চুরি-সহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর চেষ্টা করলেও, তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কাঁথি শ্মশানের জন্য বরাদ্দ জায়গায় জোর করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে। সৌমেন্দুর (Soumendu Adhikari) বিরুদ্ধে তিনটি FIR দায়ের হয়েছিল।
গত ১১ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একটি অন্তবর্তীকালীন নির্দেশে রক্ষাকবচ পান তিনি। তার মাঝে কাঁথি থানার পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠান। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। সেসময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে ফের রক্ষাকবচ দেন।