জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ….. তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বসিরহাটে এক পুলিশ কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন….. আমি আগেই বলছিলাম পুলিশের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ মেটানো। টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোট জেতানো এখন তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটা পুলিশকে দিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিশকে গুলি খেতে হচ্ছে। সমস্ত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল পার্টিটা আছে গন্ডগোল মারপিট হবেই পুলিশের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়া ।পুলিশ ওই করছে পার্টিটাকে চালিয়ে ভোট জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে জানিনা আর কতজনকে শহীদ হতে হবে।। পুরসভা আর স্বাস্থ্য দফতরের পরিষেবায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সোমবার রিভিউ মিটিংয়ের পর বলেন, “আমায় কেনো বলতে হবে।
এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন….. ভালো ভালো কথা উনি এখন বলছেন। আমি জানি না পরিস্থিতিটা কি। মোদীজি না ডাকতেই দেখা করতে যাচ্ছেন। এখানে আবার গঙ্গারতি করছেন বয়স হলে মানুষের সৎ বুদ্ধি হয় সেদিকেই যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি অফিসারদেরকে কি কাজ করতে দিয়েছেন উনারা। তাদেরকে দিয়ে সরকার লক্ষী ভান্ডার বিতরণ করাচ্ছেন লোক নেই দপ্তরে সব করতে হচ্ছে যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়েছেন তাতে কাজ হয়নি। হাসপাতালে নিচ্ছে না, তার দোষ অফিসারদের নয়। আপনি সবকিছুতে রাজনীতি করবেন তার দায়িত্ব অফিসারদের ঘাড়ে চাপাবেন। এসব বলার জন্য বলতে হয় লোকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে গিয়ে ফিরে আসছে চিকিৎসা হতে পারছে না তার কি হবে। খরচা কি করছেন সেটা লোকে দেখতে যাবে কেন আপনার দায়িত্ব এখানে ফ্রীতে স্বাস্থ্যপরিসেবা দেওয়া সেই লাভ যেন সবাই পায় সেটা দেখতে হবে সেটা হচ্ছে না এসব বলে কি হবে।
দুয়ারে সরকার প্রকল্প আবার শুরু হয়েছে, জেলাশাসকদের মুখ্য সচিবের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প নিয়ে মানুষ যেন ফিরে না যায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন….. ফিরে যাচ্ছেন না টাকা না থাকলে মানুষ ফিরে যাবে। মানুষের আগ্রহ কমে গেছে, যাকে টাকা দিচ্ছেন তাদেরকে বলছেন পার্টির মিছিলে যেতে হবে, দিদির প্রোগ্রামে আসতে হবে। এখন বুঝতে পেরেছে লোকে ৫০০ টাকা দিয়ে আমাদের পার্টির ক্যাডার বানিয়ে দিয়েছে সব জায়গায় যেতে হবে সেই জন্য লোকের আগ্রহ নেই। তৃণমূল বিধায়কের জন্মদিনে হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড় থানার ওসি। বিধায়কের কাটা কেকও খান তিনি। সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই জেলায় শুরু রাজনৈতিক বিতর্ক। এই নিয়ে তিনি বলেন……. এখন নেতাদের সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের খুব ভালো দহরম মহরম।দিদি বলেছেন ভাগ করে খাও,ভাগ করে খাচ্ছে। সেই জন্য জন্মদিনে তো যাবেই এক জায়গা থেকে মাল কড়ি আসছে।
গঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ববি হাকিমকে ধমক দিয়েছেন। এই নিয়ে তিনি বলেন……. কাজ হচ্ছে না এটা সবাই জানে, মমতা ব্যানার্জি দেখছেন লোক খেতে যাচ্ছেন তখন উনি ববি হাকিমকে ধমকাচ্ছেন ববি হাকিম গিয়ে হয় পুলিশকে ধমকাচ্ছেন নয় না হলে পোর্টের নাম নিচ্ছেন উনারা কি করবেন মানুষ যেটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উনারা বলছেন মানতে বাধ্য হচ্ছেন যে কোন কাজই হয় না ৯০% কাজ হয়ে গেছে পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন এখন দেখা যাচ্ছে কিছুই হয়নি চোখে চোখ রেখে কথা বলছে জঙ্গলমহলের মহিলারা। মমতা ব্যানার্জির চোখে চোখ রেখে কথা বলেছেন আমরা কিছুই পাইনি। যেটা আমরা বলতাম সেটা আজ সাধারণ মানুষ বলছে আর উনারা স্বীকার করতে আরম্ভ করেছেন এটা কিন্তু বলে লাভ কি আছে? পোর্টের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন ,পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন, কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেবেন এতে সমাধান হবে না। আপনি কি করবেন ভোট নিয়ে খালি রাজনীতি করবেন করে দেখান কিছু সময় আছে এখনো।
রাজ্যে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে ২৩ শে নভেম্বর থেকে ২৭শে নভেম্বর পর্যন্ত তিনি প্রচার করবেন। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন…. ভালো কথা, উনি আসবেন নিশ্চয়ই করবেন। মহম্মদ সেলিম বলেছেন অভিযোগ করেছেন মালদা মুর্শিদাবাদের বিড়ি মালিকদের কাছ থেকে পঞ্চায়েতে টিকিট বিক্রির জন্য টাকা তোলা হচ্ছে সেই টাকা অমিত শাহর কাছে পাঠাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন….. বিড়ি শ্রমিকরা আমাদেরকে টাকা দেবে কেন। হয়তো ওনার আগে নিতেন এখন পাচ্ছেন না তাই এই ধরনের কথা বলছেন ।বিড়ি শ্রমিকরা টাকা দিলে তৃণমূলকে দেবে বিজেপিকে কেন দেবে। বিজেপির সাথে কোন সম্পর্ক নেই, না আমরা এখানে সরকারে আছি। আর যদি কেউ দিয়ে থাকে, নিয়ে থাকে পার্টির জন্য দিতেই পারে লোকে। যদি অবৈধভাবে কেউ নেয় তথ্য দিয়ে বলুন এইসব হাওয়াতে কথাবার্তা বলে কোন লাভ নেই।
