সংগঠনের পক্ষ থেকে দীপঙ্কর দে-র ব্যাখ্যা, ‘গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই যে, এই বছর দুর্গাপুজো অক্টোবরের শুরুতে এবং ২০২৩-এর পুজো অক্টোবরের শেষ দিকে, অর্থাৎ প্রায় একমাস পিছিয়ে পড়ল- এটা তো চান্দ্র ক্যালেন্ডার মেনেই হয়েছে।’ আর প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওই সব বিরল প্রদর্শন? ওগুলোও পরোক্ষে নারীশক্তিরই প্রকাশ! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্রী সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘যে হাতির ভ্রূণ, সেটি মাদী হাতি। ওদের সমাজ মাতৃতান্ত্রিক। সিংহদের সমাজেও শিকার এবং সন্তান পালন করে সিংহিরা। আর ট্যারান্টুলার ক্ষেত্রে স্ত্রী মাকড়সা সঙ্গমের পরেই পুরুষটিকে খেয়ে ফেলে।’ নারীর ক্ষমতায়ন!
কলকাতা ক্রিয়েটিভিটি সেন্টারে এ বছর আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সপ্তাহ পালন করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রহালয় সমিতি। তা ছাড়া, সক্রিয় ভূমিকা ছিল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদিক সংগ্রহশালা, গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন এবং সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহ। বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহীদের ব্যক্তিগত সংগ্রহও জায়গা পেয়েছিল এই প্রদর্শনে। এর মধ্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য হলো, সংস্কৃত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সংগ্রহশালার প্রদর্শনগুলো। কলেজের তরফে অধ্যাপক কণাদ সিংহ বলছেন, ‘আমাদের সংগ্রহগুলোর আগে কখনও এমন ভাবে প্রদর্শন হয়নি। এর মধ্যে রয়েছে হরপ্পা ও মহেন-জো-দড়োর বিখ্যাত মাতৃমূর্তিটির প্রতিরূপ। রয়েছে শক যুগে তৈরি, প্রায় বাইশশো বছরের পুরোনো যক্ষীমূর্তির প্রতিরূপ। কয়েকটি অত্যন্ত দুর্লভ ছবির প্রিন্টেরও প্রদর্শন করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর শুরু হওয়া এই বিশেষ প্রদর্শনী চলবে আগামী শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। এমন ভাবে হেরিটেজ সপ্তাহ পালন করা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সংগ্রহালয় সমিতির সভাপতি শচীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলছেন, ‘স্ট্রংরুমের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের অগোচরে সংগ্রহগুলো ঢুকিয়ে রেখে দিয়ে কোনও লাভ হবে না। মানুষের আগ্রহ তৈরি করতে এই ধরনের সামগ্রীর প্রদর্শন প্রয়োজন। সেই জন্যই আন্তর্জাতিক হেরিটেজ সপ্তাহ পালন করা হয়।’ কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটির তরফে রিচা আগরওয়াল জানিয়েছেন, সাংস্কৃতিক ভাবে এত সমৃদ্ধ একটি প্রদর্শনের দায়িত্ব পেয়ে তাঁরা অত্যন্ত সম্মানিত, আগামী দিনে এমন প্রদর্শনী এখানে আরও হবে।