সোমবার রাত ১০টা নাগাদ বসিরহাটে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির প্রভাস সর্দার নামক এক কনস্টেবল। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামানোটাই এখন পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে কটাক্ষ দিলীপের। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ বলেন, “পুলিশের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ মেটানো। টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোট জেতানো এখন তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটা পুলিশকে দিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিশকে গুলি খেতে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে বসিরহাটের (Basirhat) শাকচুড়া বাজারের টাকি রোডের উপরে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালযয়ের তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সোমবার রাত দশটা নাগাদ খবর পেয়ে গন্ডগোল মেটাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বসিরহাট থানার (Basirhat Police Station) বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সেই গুলিতেই জখম হন অনন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল প্রভাস সর্দার।
পুলিশের দায়িত্ব সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, সেই পুলিশই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে কটাক্ষ করে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের শাসক দলে সমাজবিরোধীদের আধিক্য বেড়েছে বলে আগেই দাবি করেছিলেন দিলীপ। মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের দিলীপ বলেন, “সমস্ত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল পার্টিটা আছে। গন্ডগোল, মারপিট হবেই। পুলিশের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়ার। পুলিশ পার্টিটাকে চালিয়ে ভোট জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। জানি না, এরপর আর কতজনকে শহীদ হতে হবে।”
অন্যদিকে, গতকালই স্বাস্থ্য দফতরের পর্যালোচনার বৈঠকে সরকারি কর্তাদের কড়া ধমক দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে একাধিক অভিযোগ থাকায় ‘অখুশি’ মুখ্যমন্ত্রী সরকারি আধিকারিকদের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তবে দিলীপের কটাক্ষ, “সরকারি অফিসারদেরকে কি কাজ করতে দিয়েছেন ওঁরা ? তাঁদেরকে দিয়ে সরকার লক্ষ্মী ভাণ্ডার বিতরণ করাচ্ছেন। লোক নেই দফতরে। সব করতে হচ্ছে। যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়েছেন, তাতে কাজ হয়নি। হাসপাতালে নিচ্ছে না, তার দোষ অফিসারদের নয়। আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) সব কিছুতে রাজনীতি করবেন তার দায়িত্ব অফিসারদের ঘাড়ে চাপাবেন।”