East Medinipur News : সরকারি অফিসে রাত পর্যন্ত কাজেও বিতর্ক – bjp leader suvendu adhikari tweets about egra blro office open till night on holiday


এই সময়, এগরা: ছুটির দিনে রাত পর্যন্ত চলছে পাট্টা বিলির কাজের প্রস্তুতি। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে এগরায়। ২৩ নভেম্বর নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হবে ভূমিহীনদের হাতে। আর এই পাট্টা বিলির প্রস্তুতির জন্য রবিবার ছুটির দিন রাত পর্যন্ত এগরা-২ ব্লকের বিএলআরও অফিস খোলা রেখে কাজ চলেছে। রবিবার ছুটির দিনে পাট্টা সংক্রান্ত কাজের জন্য এগরা ২ ব্লক ভূমি দপ্তরে ভিড় জমিয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। রাত ৭-৮ টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে কাজ চলেছে। বিজেপির অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সরকারি অফিস খোলা রেখে পাট্টা সংক্রান্ত কাজ করা হচ্ছিল নিয়ম না মেনে। এগরা ভূমি দপ্তরে ছুটির দিন রাতে অফিসের কাজ নিয়ে রবিবার রাতে টুইট করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভোটারদের প্রভাবিত করতে রাতের অন্ধকারে জমির পাট্টার আবেদন নিচ্ছে বিএলআরও অফিস। তাঁর দাবি, শ্মশান, কবরস্থান, চা-বাগানের জমি, আদিবাসীদের জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। রাতের অন্ধকারে কেন গোপনীয়তার সঙ্গে পাট্টার কাজ করা হচ্ছে?

BJP TMC Clash : কোচবিহারে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ, ভিত্তিহীন দাবি তৃণমূলের
অন্য দিকে, পাট্টা নিয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা ও এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধান বলেন, ‘তিনি সমস্ত নিয়ম জেনেও অভিযোগ করতে হবে বলেই অভিযোগ করছেন। জমির পাট্টা বিলির একটা নিয়ম আছে। প্রথমে তিন জনের কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর সেই রিপোর্ট ভূমি স্থায়ী সমিতিতে আলোচনার পর তা পাঠানো হয় এসডিওর কাছে। মহকুমা শাসক ভেরিফিকেশন করে অ্যাপ্রুভাল দেওয়ার পর তা প্রপার চ্যানেল হয়ে ডিএলআরও-র কাছে যায়। সেখান থেকে আমাদের কাছে এলে আমরা তা এন্ট্রি করে পাট্টা বিলির ব্যবস্থা করি। তাই যখন খুশি যার তার নামে জমির পাট্টা দেওয়া যায় না। সবটাই নিয়ম মেনে করতে হয়।’

Firhad Hakim : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, গ্রামের ঝামেলা! সাঁইথিয়ার সংঘর্ষ নিয়ে দাবি ফিরহাদের
তিনি বলেন, ‘৬ মাস আগে থেকে ২৫০-র বেশি জনের নামে পাট্টা বিলি সংক্রান্ত রেজুলেশন করা থাকলেও বিএলআরও ছুটিতে থাকায় কাজ হয়নি। ২৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী পাট্টা তুলে দেবেন বলে জানার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাট্টার কাগজ রেডির কাজ চলছে। প্রতিটি কাগজে পাট্টা প্রাপকের সই লাগবে। সে কারণে রবিবার সকলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জেলা থেকে একজন অফিসার এসে কাজে সহযোগিতা করছিলেন। কোনও লুকোচুরির বিষয় নেই।’

Kolkata News :ভাত তো জুটবে! খুনের মিথ্যে দাবিতে আশ্রয় থানার ব্যারাক
বিডিও কৌশিক রায় বলেন, ‘রাত পর্যন্ত নয়, সন্ধ্যা সাতটা-সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কাজ হয়েছে। আমিও ছিলাম। বুধবার পাট্টাপ্রাপকদের নিয়ে ৯টার মধ্যে কলকাতা পৌঁছতে হবে। সে নিয়ে আলোচনা, আইকার্ড দেওয়া ও পাট্টার কাগজে সই করার জন্যে সকলকে ডাকা হয়েছিল। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাট্টাপ্রাপক রয়েছেন এই ব্লকে। পোস্ট অফিস সমেত অনেক সরকারি অফিসে রাত পর্যন্ত কাজ হয় কাজের চাপের কারণে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *