অন্য দিকে, পাট্টা নিয়ে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূল নেতা ও এগরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনেশ প্রধান বলেন, ‘তিনি সমস্ত নিয়ম জেনেও অভিযোগ করতে হবে বলেই অভিযোগ করছেন। জমির পাট্টা বিলির একটা নিয়ম আছে। প্রথমে তিন জনের কমিটি তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার পর সেই রিপোর্ট ভূমি স্থায়ী সমিতিতে আলোচনার পর তা পাঠানো হয় এসডিওর কাছে। মহকুমা শাসক ভেরিফিকেশন করে অ্যাপ্রুভাল দেওয়ার পর তা প্রপার চ্যানেল হয়ে ডিএলআরও-র কাছে যায়। সেখান থেকে আমাদের কাছে এলে আমরা তা এন্ট্রি করে পাট্টা বিলির ব্যবস্থা করি। তাই যখন খুশি যার তার নামে জমির পাট্টা দেওয়া যায় না। সবটাই নিয়ম মেনে করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘৬ মাস আগে থেকে ২৫০-র বেশি জনের নামে পাট্টা বিলি সংক্রান্ত রেজুলেশন করা থাকলেও বিএলআরও ছুটিতে থাকায় কাজ হয়নি। ২৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী পাট্টা তুলে দেবেন বলে জানার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পাট্টার কাগজ রেডির কাজ চলছে। প্রতিটি কাগজে পাট্টা প্রাপকের সই লাগবে। সে কারণে রবিবার সকলকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। জেলা থেকে একজন অফিসার এসে কাজে সহযোগিতা করছিলেন। কোনও লুকোচুরির বিষয় নেই।’
বিডিও কৌশিক রায় বলেন, ‘রাত পর্যন্ত নয়, সন্ধ্যা সাতটা-সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কাজ হয়েছে। আমিও ছিলাম। বুধবার পাট্টাপ্রাপকদের নিয়ে ৯টার মধ্যে কলকাতা পৌঁছতে হবে। সে নিয়ে আলোচনা, আইকার্ড দেওয়া ও পাট্টার কাগজে সই করার জন্যে সকলকে ডাকা হয়েছিল। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাট্টাপ্রাপক রয়েছেন এই ব্লকে। পোস্ট অফিস সমেত অনেক সরকারি অফিসে রাত পর্যন্ত কাজ হয় কাজের চাপের কারণে। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’