জলপাইগুড়ি মাল পুরসভার (Mal Municipality) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল। বচসা থেকে কার্যত হাতাহাতিতে জড়িয়ে দুই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় মাল থানার (Mal Police Station) পুলিশকে। মাল পুরসভার ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহার পুরসভার নতুন দোকান বন্টন নিয়ে বেশ কিছু আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেন। দোকান বন্টনের হিসাব চেয়ে মাল পুরসভার চেয়ারম্যান, জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপ সহ রাজ্যের বিভিন্ন তৃণমূল নেতাকে একটি চিঠি করেন। একাধিক জায়গায় চিঠি করলেও কোনও উত্তর না পাওয়ায় আজ ফের মাল টাউন তৃণমূল সভাপতি অমিত দেকে আরও একটি চিঠি করেন৷
মাল পুরসভা (Mal Municipality) চেয়ারম্যান স্বপন সাহা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বৈঠক ডাকেন। ২নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর কুলিন গোলদারকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য পুরসভায় ডাকা হয়। কুলিন গোলদারের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে তিনি পুরসভায় ঢুকতেই তাঁর উপর মাল টাউন তৃণমূল সভাপতি অমিত দের বেশ কিছু অনুগামী তাঁর উপর চড়াও হয়। খবর পেয়ে কুলিন গোলদারের অনুগামী তথা ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অজয় লোহার সহ বেশ কিছু তৃণমূল নেতৃত্ব কুলিন গোলদারকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের উপরেও চড়াও হয়। তাঁদেরকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে একসময় মেন গেট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। সকলকে নিয়ে বৈঠক করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়নি। দেড়ঘন্টা বৈঠকের পরও কাউন্সিলররা বের হলে সমর্থকরা তাঁদের নিয়ে টানা হেঁচড়া শুরু করে দেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোটা ঘটনায় মাল থানায় ইতিমধ্যে দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়ে কুলিন গোলদার ও অজয় লোহারের পক্ষ থেকে। এই বিষয়ে মাল পুরসভার চেয়ারম্যানকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেনি। পাশাপাশি তৃণমূলের মাল টাউন সভাপতি অমিত দে ফোনে জানিয়েছেন, “এটা আমাদের নিজেদের ওয়ার্ডের সমস্যা। এর সঙ্গে আমাকে অযথা জড়ানো হচ্ছে। আমি বিষয়টি কিছুই জানিনা।”