সোমবার প্রশাসনিক বৈঠক ছিল নবান্নে (Nabanna)।সেখানেই পথবাতির সমস্যা ও রাস্তার অবস্থা খারাপ অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিকদের এ নিয়ে কড়া কথাও শোনান। তারপরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। মঙ্গলবার রাস্তা ধুতে নামানো হয় দমকলকে।

হাইলাইটস
- সোমবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী
- মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমকের পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
- মঙ্গলবার সকালে রাস্তা ধুতে নামানো হয় দমকলকে
রাস্তা ধোয়ার কাজ শুরু হওড়ায়
তবে মঙ্গলবার সকাল নয়। সোমবার নবান্নে বৈঠক শেষ হওয়ার পরই তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় প্রশাসনের মধ্যে। হাওড়ার মন্দিরতলায় পথবাতির সমস্যা নিবারণে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলাশাসক মুক্তা আর্য-সহ অন্যরা। এলাকা পরিদর্শনের পর তড়িঘড়ি বৈঠক করেন হাওড়া প্রশাসন এবং পুরসভার আধিকারিকরা। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে, মঙ্গলবার দুপুরেই ফোরশোর রোডে গিয়ে আলো এবং রাস্তার পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে থাকবেন হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী এবং অন্য আধিকারিকরা। আর সেই মতো মঙ্গলবার সকাল হতেই রাস্তা ধোয়ার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় হাওড়ায়। রাস্তা ধুতে নামানো হয় দমকলকে। ড্রেনেজ ক্যানেল রোডে দমকল ও পুর কর্মীরা জল দিয়ে রাস্তা ধুয়ে দেন। এর পাশাপাশি গাছেও জল দিতে দেখা যায় তাঁদের।
রাস্তার আলো খতিয়ে দেখার আশ্বাস
এ প্রসঙ্গে সুজয় চক্রবর্তী বলেন, “ফোরশোর রোডে কিছু আলো খারাপ রয়েছে। ওগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে এইচআরবিসি (হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স)। তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে রাস্তার বাকি অংশের দেখভাল করে হাওড়া পুরসভা। সেখানেও সমস্যা থাকতে পারে। সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।” এছাড়া রাস্তা ধোয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাস্তা ধোয়ার জন্য চারটি ওয়াটার স্প্রিংকেল ভেহিকল কেনা হয়েছে। তাতে খরচ হয়েছে ৮৮ লাখ টাকা। পরিবহণ দফতর থেকে সেই গাড়িগুলির নম্বর পেলেই রাস্তায় নামানো হবে। হাওড়ার রাস্তাঘাটও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ