সোমবার CPIM রতুয়া-২ এরিয়া কমিটির জনসভা অনুষ্ঠিত হয় শ্রীপুরে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে কর্মী সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাম নেতৃত্ব। দুর্নীতি থেকে কর্মসংস্থান একের এর পর এক ইস্যু নিয়ে জোড় সওয়াল করেন তাঁরা। এদিনের সভায় বাম কর্মীদের জোর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গাঁজা কেস দিয়ে হয়রানি করার বিরুদ্ধে সওয়াল করেন সেলিম। তিনি বলেন, “পুলিশকে বলে রাখছি, দালালি করে বেশিদিন চলবে না। নিয়ম মেনে চলুন, সংবিধান মেনে চলুন। আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি চাই। যে সব অফিসাররা তৃণমূলের কথা শুনে আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হাইকোর্টে গিয়ে তাঁদের আমরা জেলের ঘানি টানাবো।”
এর আগেও একাধিকবার পুলিশি ব্যবস্থা নিয়ে চরম আক্রমণাত্মক হতে দেখা যায় সেলিমকে। কয়েক সপ্তাহ আগেই ২০১৪ TET আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশি ধস্তাধস্তির সময় এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে পুলিশ কামড়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সেলিম বলেছিলেন, “কলকাতা শহরে ইংরেজ আমল থেকে দুই ধরনের কুকুর রয়েছে। একটি হল পোষা, অন্যটি রাস্তার নেড়ি কুকুর। সেটি থেকে সাবধান থাকতে হয়। আজ যে কামড়াকামড়ি হচ্ছে, সেটি কারা করছে? আগে পুলিশ ছিল, তারপর সিভিক হল, এখন দেখছি নেড়ি পুলিশ হল নাকি?” গত সেপ্টেম্বর মাসে বামেদের CGO কমপ্লেক্স অভিযান থেকেও পুলিশি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে। সেদিনও রাজ্য পুলিশকে টার্গেট করে সেলিম বলেন, “উর্দি ইতিমধ্যেই ছেড়ে দিয়েছে। বাংলার পুলিশ, যাঁরা দালালি করছেন, সেই অফিসাররা উলঙ্গ হয়ে গিয়েছেন। নগ্ন হয়ে গিয়েছেন।”
এদিনের সভায় উপস্থিত ছিল CPIM-র জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্ব। CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন CPIM-র রাজ্য কমিটির সদস্য শতরূপ ঘোষ, CPIM নেতা বিশ্বনাথ ঘোষ, ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের জেলা কমিটির সম্পাদক জামিল ফিরদৌস, CPIM জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। “চোর তাড়াও, গ্রাম জাগাও, বাংলা বাঁচাও” এই স্লোগান দেওয়া হয় সমাবেশ থেকে। এই মুহূর্তে দুর্নীতি ইস্যুতে জর্জরিত রাজ্যের শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেন বাম নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতি নিয়েও তোপ দাগেন CPIM মুখপাত্র শতরূপ ঘোষ ও মহম্মদ সেলিম।