নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং থানার (Canning Police Station) অন্তর্গত গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দার পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে রুখল পুলিশ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী।

হাইলাইটস
- ক্যানিংয়ে নাবালিকার বিয়ের রুখতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশকর্মী
- পুলিশের উপর চড়াও হয় নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা
- এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
ঠিক কী হয়েছিল?
গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্দার পাড়ায় এক নাবালিকার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এমনকী, পাত্রও প্রাপ্ত বয়স্ক ছিল না বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। নাবালিকার বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে তা তার পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। অভিযোগ, কোনও কথা না শুনে পুলিশকে দেখেই হামলা চালাতে শুরু করে নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা। এমনকী, পুলিশ কর্মীদের গালিগালাজও করা হয়। পাশাপাশি তাঁদের উপর ইট, লাঠি, শাবল ও কড়াত দিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মাথা ফেটেছে ওই সাব ইন্সপেক্টরের।
ঘটনার খবর পেয়েই ক্যানিং থানার আই সি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে ক্যানিং থানার আরও পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এদিকে ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। তার জেরে অভিযুক্তরা অনেকেই সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে পুলিশ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তিতে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
নাবালিকার বিয়ের আয়োজন ঘাটালে
এর মাত্র কয়েকদিন আগে ঘাটালে এক নাবালিকা বিয়ের অভিযোগ উঠেছিল। সেই খবর পেয়ে পুলিশ পাত্র, পুরোহিত-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশের বক্তব্য, বারবার ধরে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রচার করেও সচেতন হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। জানা গিয়েছে, পার্থ গুছাইত নামে বনহরিসিংহপুর এলাকার এক পাত্রের সঙ্গে গোপমহল মনোহরপুর এলাকার এক নাবালিকা পাত্রীর বিয়ে হচ্ছিল। বিয়ের আসর বসে বাঘানালা গ্রামে সনৎ চক্রবর্তী নামে এক আত্মীয় বাড়িতে। সনৎই ছিলেন এই বিয়ের পুরোহিত। নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে রাতেই বাঘানালার বিবাহ আসরে গিয়ে হানা দিয়েছিল ঘাটাল থানার পুলিশ।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ