সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্রুত অগ্রগতির স্বার্থে কতগুলি জরুরি পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। যার মধ্যে অগ্রগণ্য হলো, এনআরএসে (NRS) হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন পরিষেবার সূচনার চিন্তাভাবনা।
হাইলাইটস
- সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্রুত অগ্রগতির স্বার্থে কতগুলি জরুরি পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
- যেগুলির মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন জনমুখী দিগন্তের সূচনা করতে পারে।
- এনআরএস হাসপাতালে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু করার চিন্তা ভাবনা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সোমবারের বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দ্রুত অগ্রগতির স্বার্থে কতগুলি জরুরি পদক্ষেপের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেগুলির মধ্যে কয়েকটি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন জনমুখী দিগন্তের সূচনা করতে পারে। এর মধ্যে অগ্রগণ্য হলো, এনআরএসে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন পরিষেবার সূচনার চিন্তাভাবনা। বলা ভালো, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসএসকেএম এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে এই সুবিধা রয়েছে। এ দিন এনআরএসের অধ্যক্ষ তাঁর হাসপাতালেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট চালু করার আর্জি পেশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ নিয়ে এগোনো যেতেই পারে। অদূর ভবিষ্যতে এনআরএসে হৃদযন্ত্র প্রতিস্থানের পরিকাঠামো গড়ে উঠলে তা হবে পশ্চিমবঙ্গে এই পরিষেবা প্রদানের তৃতীয় সরকারি কেন্দ্র।
তা ছাড়াও আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নবান্নের বৈঠকে সরকারের সক্রিয়া ভূমিকার দিশা মিলেছে:
- মেডিক্যাল কলেজে হবে কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক।
- ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানাভাবের সমস্যা মেটাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি যাতে পাওয়া যায়, সেই ব্যাপারে ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান ও অতীন ঘোষকে কথা বলতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা দেখো। ওঁদের বলো, দিদি বলেছে।
- প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মানোন্নয়নে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্তরে ২০২৩ সালের মধ্যে ১০,১৭৩টি ও ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ১৬,৬১৬টি সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আগামী দিনে যাবতীয় নয়া উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসাবেই গড়ে তোলা হবে।
- স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ২০২২-২৩ সালে রাজ্য সরকারের আড়াই হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। ২ কোটি ৪০ লাখ পরিবারের ৮ কোটি ৪৩ লাখ মানুষ ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথীতে নথিভুক্ত হয়েছেন।
- ভবিষ্যতে অতিমারী পরিস্থিতির মোকাবিলায় ২২টি জেলার প্রতিটিতে ১০০ শয্যার ছ’টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও ৫০ শয্যার ১৬টি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরি হবে।
- আগামী ৫ বছরের মধ্যে জেলাগুলিতে মোট ২৩টি ‘ডিস্ট্রিক্ট ইনটিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি’ গড়ার লক্ষ্য স্থির হয়েছে। এই ধরনের ৭টি ইউনিট তৈরির কাজ ২০২৩-এর মার্চের মধ্যেই শেষ করা হবে।
- আগামী এক বছরের মধ্যে ১৬টি নয়া সিটি স্ক্যান মেশিন ও ২৪টি নয়া ডায়ালিসিস ইউনিট তৈরি হবে। ডায়ালিসিস ইউনিটের বেড সংখ্যা ১২০ থেকে বেড়ে হবে ২৫০।
- ক্যানিং ও অনুপনগরে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব চালু হবে যথাক্রমে ২০২২-এর ডিসেম্বর এবং ২০২৩-এর মার্চে।
- ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে আশাকর্মীর সংখ্যা ৫৬,৯১৮ থেকে বাড়িয়ে ৭৩,৯৬১ করা হবে। এই লক্ষ্যে আরও দশ হাজার আশাকর্মীর পদ সৃষ্টি করা হবে।
- বেলদায় আগামী ১ ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হবে সুপার-স্পেশালিটি হাসপাতাল।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ