Sundarbans : হাঙড়-শংকর মাছের শুঁটকির চোরা কারবার বাড়ছে, সুন্দরবনে প্রচারাভিযানে বন দফতর – forest department campaigning for awareness to fishermen for not catching valuable water animal and fishes


West Bengal News সামুদ্রিক মাছের শুঁটকির চাহিদা বাজারে ভালোই। তবে হাঙর, শংকর বা কামট মাছের শুঁটকি হলে তার দাম বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছে চোরাকারবারিরা। কড়া নজরদারির ফাঁক গলে গোপনে চলছে সামুদ্রিক প্রাণী শিকার। মাছের ডানা-পাখনা কেটে শুকিয়ে মোটা দামে পাচার হচ্ছে দক্ষিণ ভারতে। অবৈধ চোরাকারবার রুখতে এবার তাই আরও তৎপর হল বন দফতর। কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার আগে প্রচার চালাতে শুরু করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগ (South 24 Parganas Forest Department)।

Digha Beach : দিঘার মোহনায় উদ্ধার ‘জায়ান্ট’ চিল শংকর মাছ, কত দামে বিক্রি হল?
বন্যপ্রাণী আইন অনুসারে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ হাঙর শিকার। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ছোট সাইজের শংকর, কামট মাছ শিকারেও। তা সত্ত্বেও সুন্দরবনে (Sundarban) নদী গুলি থেকে নির্বিচারে হাঙর (Shark), কামট, শঙ্কর মাছ (Shankar Fish) শিকার চলছে বলে খবর বন দফতরের কাছে। শিকারের পরে তাদের ডানা-পাখনা কেটে শুঁটকি তৈরি করে সকলের চোখ এড়িয়ে গোপনে পাচার করছে এক শ্রেণীর চোরাকারবারিরা। খবর পেয়ে দিনকয়েক আগে বন বিভাগের ‘অভিযান বাহিনী’ আচমকা অভিযান চালায় বকখালিতে। হাতেনাতে ধরা পড়ে কয়েকজন চোরা শিকারি। দ্বিতীয়বার এই ধরণের কাজ বন্ধ করতে বন বিভাগ নানা ভাবে প্রচার শুরু করেছে। সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকারকারী ট্রলার ব্যবসায়ীদের সচেতন করছে এই ধরণের পরিবেশ ধ্বংসকারী ব্যবসা বন্ধ করতে।

Siliguri News : হরিণ-কচ্ছপ-শূকর মারায় পারদর্শী, কুখ্যাত অঞ্জন অবশেষে গ্রেফতার ডুয়ার্সে
ইতিমধ্যে বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, নামখানা, কাকদ্বীপ এবং সাগর দ্বীপের হাটেবাজারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং ফিসিং-হারবার গুলিতে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছে নামখানা, কাকদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দীঘি-সহ বেশ কিছু মৎস্য বন্দর থেকে হাঙর, শুশুক, শঙ্কর মাছের চোরাকারবার হয় রমরমিয়ে। বন দফতরের আধিকারিক সৌমিতা বোস বলেন, “আমরা মৎস্যজীবীদের সচেতন করছি, যাতে এরা যখন মাঝ সমুদ্র যায়, তখন শংকর, হাঙর, কচ্ছপ এই সব জলজ প্রাণীদের না ধরে। মৎস্যজীবীদের বিষয়টি বোঝানো হচ্ছে, যাতে তাঁরা এই ভুল আর না করে।”

South 24 Parganas News : হাঙর ধরার অভিযোগ, কাকদ্বীপে গ্রেফতার ৪ মৎস্যজীবী
সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র জানান, যে সব মাছ নিষিদ্ধ করা আছে, সেগুলি আমরা মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। মাঝিরা এইসব মাছ সাধারণত ধরে না। পাশাপাশি বন দফতরের সচেতনতা অভিযান প্রশংসনীয়। তবে কোন, কোন মাছ বা প্রাণী সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানানো হলে আমাদের আরও উপকার হয়।” তবে সচেতনতার পাশাপাশি নিয়ম অগ্রাহ্য করে জলজ প্রাণী শিকার ও হত্যা করা হলে তাঁদের ট্রলার বাজেয়াপ্ত করে দেওয়া হবে এবং পরবর্তীকালে আরও কঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *