জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চোট আঘাতে জর্জরিত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফ্রান্স (France)। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও দিদিয়ের দেশঁ-র (Didier Deschamps) দল চোট-আঘাত থেকে মুক্তি পেল না। এবার ডান পায়ের গোড়ালিতে চোট কাপ যুদ্ধ থেকে ছিটকে গেলেন আর এক তারকা লুকাস হার্নান্ডেজ (Lucas Hernandez)। ফলে প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ শেষ হতেই মিনি হাসপাতালে পরিণত হয়েছে দু’বারের বিশ্বজয়ী দল। ফ্রান্স শিবির যদিও হার্নান্ডেজের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া এখনও নিশ্চিত করেনি। তবে দলের অধিনায়ক হুগো লরিস ও কোচের কথায় অনেকটাই স্পষ্ট, এই ডিফেন্ডারের বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ইতিমধ্যে পাঁচজন ফুটবলার চোটের তালিকায় নাম লিখিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন। কাপ যুদ্ধের অভিযানে ফ্রান্স এই ধাক্কা কেমনভাবে সামলায় সেটাই দেখার।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই চোটে মাঠ ছাড়তে হয় হার্নান্ডেজকে। অধিনায়ক হুগো লরিস চোটের তীব্রতা তখনই বুঝতে পেরেছিলেন। একের পর এক চোটে দলের প্রথম একাদশের অনেকেরই ছিটকে যাওয়া চিন্তায় ফেলেছে লরিসকে। টটেনহামের এই গোলকিপার ম্যাচের শেষে বলছিলেন, লাগাতার চট-আঘাত আমাদের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলা চলার সময় ওর চিৎকার শুনেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে হার্নান্ডেজের চোট গুরুতর। তবে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এই বাধাগুলো দল হিসেবে আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।’
চোট যে কতটা গুরুতর, সেটা ম্যাচ শেষে দিদিয়ের দেশঁ-র কথায়ই স্পষ্ট ছিল। তিনি বলেছেন, ‘সবার আগে হার্নান্ডেজকে কিছু পরীক্ষার করাতে হবে। আমার মনে হচ্ছে চোট গুরুতর। বাকিটা সময় বলবে।’
আরও পড়ুন: Manchester United: ৬০ কোটি মার্কিন ডলার দেনার দায়ে ডুবে ম্যান ইউ! ক্লাব বিক্রি করছে গ্লেজার পরিবার
এনগোলো কান্তে (N’Golo Kante), পল পোগবার (Paul Pogba) মতো তারকারা আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। কাতারে পা রাখার পর চোটের পেয়ে ছিটকে যান ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্বেম্বে (Presnel Kimpembe)। চোট পেয়ে বাতিলে খাতায় নাম লিখিয়ে দেশে চলে গিয়েছেন দলের সবচেয়ে তারকা করিম বেঞ্জিমা (Karim Benzema)। এবার সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেললেন লুকাস হার্নান্ডেজ।
যদিও লুকাস হার্নান্ডেজ চোট পেয়ে শুরুতেই মাঠ ছাড়লেও, অজিদের হারাতে বেগ পেতে হয়নি। ৯ মিনিটে ক্রেগ গুডউইনের গোলে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেলেও, লাভ হয়নি। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক অলিভিয়ের জিহু (Olivier Giroud)। বাকি দুটি গোল করলেন আদ্রিয়েন ব়্যাবিয়ট (Adrien Rabiot) ও কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)।
২৬ নভেম্বর ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামবে ফ্রান্স। ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের দল আবার তাদের প্রথম ম্যাচ তিউনিশিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্যভাবে ড্র করেছে। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্স জিতলেই অনায়াসে চলে যাবে পরের রাউন্ডে। ইতিমধ্যে পাঁচজন ফুটবলার চোটের তালিকায় নাম লিখিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেলেন। কাপ যুদ্ধের অভিযানে ফ্রান্স এই ধাক্কা কেমনভাবে সামলায় সেটাই দেখার।