সৌজন্যের চিত্র
রাজভবনে তখন চলছে নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করানোর পরই একে একে রাজভবনে উপস্থিত সকলের সঙ্গেই সৌজন্য বিনিময় করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এদিন তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে রাজভবনে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিরাও। এসছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। কিন্তু, প্রথম সারিতে ঠাঁই হয়নি তাঁর। সেখানে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের মন্ত্রী ও সাংসদদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের পর পর চেয়ারে বসেছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার। নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস একে একে এসে সকলের সঙ্গেই কথা বলেন। কথা বলেন ঠিক তাঁদের পিছনের সারিতে বসা বিমান বসুর সঙ্গেও। কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং মালা রায় তাঁর সঙ্গে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের আলাপও করিয়ে দেন।
এরপরই নিজের জায়গা থেকে উঠে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমান বসুকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, “কেমন আছেন বিমানদা?” তারপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনি পিছনে কেন? সামনে আসুন।” সেখানেই শেষ নয়। নিজে হাতে তাঁর চেয়ার তুলে সামনের সারিতে এনে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। হাত ধরে বিমান বসুকে সামনে এনে বসালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই ব্যবহার পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বিমান বসুও। তাঁকেও হেসে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। রাজভবন থেকে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্য সম্পর্কে বিমান বসু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছিলেন।”