Calcutta High Court : দীর্ঘদিন আটকে রায়গঞ্জ রেলপথ নির্মাণ কাজ, জনস্বার্থ মামলা দায়ের হাইকোর্টে – a case has been filed in calcutta high court for the unfinished rail project in raiganj


West Bengal News দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে ডালখোলা থেকে গাজোল ভায়া রায়গঞ্জ, ইটাহার রেলপথের কাজ। বেহাল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার অভিযোগ উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) সদর রায়গঞ্জে (Raiganj)। রেল পরিষেবা নিয়ে এবার জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে রায়গঞ্জ নিবাসী এক ব্যবসায়ী এই মামলা দায়ের করেছেন। অসমাপ্ত কাজ কবে শুরু হবে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলাটি করা হয়েছে।

Raiganj Murder Case: পরকীয়ার জেরেই খুন? রায়গঞ্জ হত্যাকাণ্ডে ধৃতকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জের বেহাল রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে এবার জনস্বার্থ মামলা দাখিল হল কলকাতা হাইকোর্টে। রায়গঞ্জের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অঞ্জন রায় হাইকোর্টে এই মামলাটি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অঞ্জনবাবু বলেন, “ডালখোলা থেকে গাজোল (Dalkhola-Gazole) ভায়া রায়গঞ্জ, ইটাহার রেলপথের কাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে। সেই কাজ নিয়ে নানা জটিলতা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। কবে পুনরায় এই কাজ শুরু হবে তা জানতে চেয়েই এই মামলা।”

Raniganj News : ডালখোলায় পুনরায় বাস চালুর দাবিতে বনধ, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা
প্রায় ৬০ কিলোমিটারের মত এই রেলপথ হলে খুব সহজেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে দুই দিনাজপুর ও মালদা জেলার। রেল মানচিত্রে পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবেই পরিচিত থাকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ। মামলার ব্যাপারে অঞ্জনবাবুর আইনজীবী কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “অঞ্জন বাবু হাইকোর্টে ডালখোলা থেকে গাজল ভায়া রায়গঞ্জ, ইটাহার যে কাজ থমকে রয়েছে তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আশা করা যায়, আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হবে।”

West Bengal News : গাজোলে বেহাল রাস্তা মেরামতির দাবিতে বিক্ষোভ, পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি
জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী দুই দিনাজপুর ও মালদার তিনটি রেলপথের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলেন। রায়গঞ্জ-ডালখোলা এবং রায়গঞ্জ-গাজোল রুটে রেল যোগাযোগ চালুর জন্য লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু জমিজটে কাজ আটকে যায়। নতুন রেললাইন বসানোর জন্য প্রাথমিকভাবে যে জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল, সেখানে তিন ও চার ফসলি জমি সহ প্রচুর ঘরবাড়ি রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু দোকানপাটও। অধিকাংশ পরিবারের আয়ের উৎস বলতে চাষাবাদ। ফলে জীবিকা হারানোর আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল বাসিন্দাদের। রেলের জন্য চাষের জমি এবং বসত ভিটা ছাড়ার কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা। রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জমিজট মিটলে তবেই লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। এই পরিস্থিতিতে থমকে প্রস্তাবিত নয়া রেললাইন বসানোর কাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *