
সোনাগাছিতে দুই খদ্দেরকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে সোনার হার এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছিল চার যৌনকর্মীর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য টাকা এবং সোনার হার ফেরতও পেয়েছিলেন দুই ব্যক্তি। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল সোনাগাছি কতটা সুরক্ষিত? যৌনকর্মীদের সচেতন করতে প্রতিনিয়ত প্রচার চালায় দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি। তারপরেও এই ধরনের ঘটনায় রীতিমতো প্রশ্ন উঠছিল। এবার এই বিষয়ে দুর্বারের তরফে অবশ্য ভিন্ন দাবি করা হল। তাদের একাংশের কথায়, “এই ঘটনার সঙ্গে যৌনকর্মীরা যুক্ত নয়। এক্ষেত্রে অন্য একটি চক্র কাজ করছে। যৌনকর্মীদের বদনাম করা জন্য এই ঘটনাগুলি ঘটনা হচ্ছে বলে দাবি তাঁদের।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যৌনকর্মী বলেন, “প্রতিটি বিষয়ে যৌনকর্মীদের কাঠগোড়ায় দাঁড় করানো হয়। কিন্তু, বিষয়টির সঙ্গে তাঁরা জড়িত নয়। নেপথ্যে একটি চক্র কাজ করছে। গ্রাহকদের সঙ্গে এই ধরনের আচরণ করলে আমাদের ক্ষতি। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত ভালো করে জানি। আমাদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, অপর এক যৌনকর্মী বলেন, “কোনও গ্রাহককে এভাবে ডেকে ছিনতাই করা হয় না সোনাগাছির ভেতরে। সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এই অংশ। যা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” যদিও দুর্বারের অপর অংশ বলছে অন্য কথা। এই প্রসঙ্গে দুর্বার মহিলা সমিতির সঙ্গে যুক্ত রতন দলুই বলেন, “১ ডিসেম্বর থেকে আমাদের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার শুরু হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার দিবসে সোনাগাছি থেকে একটি সচেতনতা প্রচার চালানো হবে। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য সকলের বদনাম মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” বিষয়টি নিয়ে যৌনকর্মীদের সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে, অপর এক যৌনকর্মী বলেন, “কোনও গ্রাহককে এভাবে ডেকে ছিনতাই করা হয় না সোনাগাছির ভেতরে। সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এই অংশ। যা হয়েছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।” যদিও দুর্বারের অপর অংশ বলছে অন্য কথা। এই প্রসঙ্গে দুর্বার মহিলা সমিতির সঙ্গে যুক্ত রতন দলুই বলেন, “১ ডিসেম্বর থেকে আমাদের একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচার শুরু হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার দিবসে সোনাগাছি থেকে একটি সচেতনতা প্রচার চালানো হবে। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য সকলের বদনাম মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।” বিষয়টি নিয়ে যৌনকর্মীদের সচেতন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে সোনাগাছিতে দুই খদ্দেরকে ফোন করে ডেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সোনার হার ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল চার যৌনকর্মীর বিরুদ্ধে। ওই খদ্দেররা লালবাজারের ১০০ নম্বর ডায়াল করে সাহায্যের জন্য। এরপর বড়তলা থানার পুলিশের মধ্যস্থতায় টাকা এবং সোনার হার ফেরত পান অভিযুক্তরা, জানা গিয়েছে এমনটাই। যদিও ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় কোনও অভিযোগ জানাননি তাঁরা। জানা গিয়েছে, সোনার চেন এবং টাকা ফেরত পেয়েছেন ওই দুই ব্যক্তি। এরপরেই রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ এই যৌনপল্লীর সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন যৌনকর্মীরা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।