
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ইতিমধ্যেই আমডাঙার ২১টি মৌজায় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তবে জমিদাতাদের দাবি, ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেওয়া হলে সকলে স্বেচ্ছায় জমি ছেড়ে দেবেন। ক্ষতিপূরণ নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার স্থানীয় BDO-র সঙ্গে বৈঠকের কথা ছিল জমিদাতাদের। সেইমতো ‘৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ফলে প্রতারিতদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা কমিটি’র সদস্যরা হাজির হলেও, BDO সৌমেন বণিক অসুস্থ হওয়ায় সেই বৈঠক হয়নি বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের৷ এরপরই ন্যায্য মূল্যের দাবিতে আমডাঙা BDO অফিসের সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঠের বেঞ্চ পেতে বিক্ষোভে সামিল হন গ্রামবাসীরা।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের ফলে প্রতারিতদের ন্যায্য অধিকার রক্ষা কমিটির সম্পাদক মহম্মদ সৈয়দ আনোয়ার বলেন, ‘‘২০১৩ সালের আইন মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে আমডাঙার BDO র সঙ্গে আজ আলোচনা হওয়ার কথা ছিল৷ হঠাৎ BDO অসুস্থ বোধ করায় আলোচনা হয়নি৷ তবে আমাদের দাবি, ২০১৩ সালের আইন মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷ সেটাই এদিন রাস্তা অবরোধ করে বার্তা দিলাম, আগামী দিনে আমাদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে৷’’
শেখ আবদুল নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘সরকার রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য আমাদের জমি নিতে চেয়েছে৷ আমরাও স্বেচ্ছায় জমি দিতে প্রস্তুত, কিন্তু সরকারের তরফে উপযুক্ত মূল্য দেওয়া হচ্ছে না৷ আমাদের দাবি, ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী টাকা দিতে হবে, তাহলেই আমরা জমি ছেড়ে দেব৷’’ অপর বিক্ষোভকারীদের জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের ন্যায্যমূল্য দিলে আমরা জমি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেব৷ দীর্ঘদিন ধরে আমাদের হেনস্থা হতে হচ্ছে, আমাদের কোনও দাবি মানা হচ্ছে না৷ আজকে একটা সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি৷’’