চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও চা বাগানে কর্মীরা কাজ করতে এসেছিলেন। হাসিতুন বেগম নামে ওই মহিলাও আসেন কাজে৷ কিন্তু আচমকাই বাগানের ঝোপ থেকে চিতাবাঘ এসে হাসিতুন বেগমের ওপর আক্রমণ করে৷ চিতাবাঘটি বাগানের ঝোপের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল বলে দাবি বাগানে কর্মরত শ্রমিকদের৷ চিতাবাঘের আক্রমণে হাসিতুন বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তবে ওই ঘটনার সময় উপস্থিত চা শ্রমিকরা চিৎকার চেঁচামিচি শুরু করলে চিতাটি ভয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর চা বাগানের শ্রমিকরা আহত হাসিতুন বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে ওদলাবাড়ি প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় আহত ওই মহিলাকে। বর্তমানে হাসিতুন বেগম মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এই ঘটনার পরে বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে চিতাবাঘটিকে ধরার আর্জি জানানো হয় বন দফতরের কাছে। তবে এই ঘটনায় আতঙ্কিত বাগানের শ্রমিকরা৷ বাগানে কর্মরত এক শ্রমিকের দাবি, এদিন আচমকা ঝোপের থেকে বেরিয়ে এসে এক মহিলার ওপর আক্রমণ করে চিতাবাঘ৷ তাঁকে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
এই ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত বলেও জানান৷ এদিনের ঘটনার খবর জানতে পেরে সেখানে আসে চা বাগান কর্তৃপক্ষ৷ কর্তৃপক্ষের কাছে চিতাবাঘ নিয়ে তাঁদের আতঙ্কের কথাও জানান তাঁরা৷ এরপরই চা বাগান কর্তৃপক্ষের তরফে চিতাবাঘ ধরার জন্য বন দফতরের কাছে আর্জি জানানো হয়৷ তবে বন দফতরের তরফে কী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং কবে চা বাগানে ওঁত পেতে থাকা এই চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করতে তারা সমর্থ হয়, সেটাই এখন দেখার৷