Mamata Banerjee : মমতার প্রস্তাবে কলকাতার ঘাটে গঙ্গারতির প্রস্তুতি – mamata banerjee orders varanasi style ganga aarti kolkata municipality start preparations


এই সময়: বারাণসী ও হরিদ্বারের মতো কলকাতার গঙ্গার ঘাটেও আরতি চালু করতে উদ্যোগী হলো কলকাতা পুরসভা। সোমবার নবান্ন সভাগৃহে সরকারি বৈঠকে বিষয়টি দেখার জন্য কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য তিনি উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে বলেছেন। সেই মতো মঙ্গলবার বিকেলে বাজে কদমতলা ঘাট পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ তারক সিং এবং দেবাশিস কুমার-সহ আধিকারিকরা। তারক সিং জানাচ্ছেন, গঙ্গারতি শুরু করার জন্য বাজে কদমতলা ঘাটের কথা ভাবা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, প্রতি শনি অথবা রবিবার মাসে চারদিন করে সন্ধ্যায় গঙ্গারতির আয়োজন করা হবে। দর্শকরা যাতে তা উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য বসার চেয়ার থাকবে। বেহালার একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই পরিকল্পনা রূপায়ণ করবে কলকাতা পুরসভা।

Konnagar Baro Mandir Ghat : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বারাণসীর মতো গঙ্গা আরতি এবার কোন্নগরেও
উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটের সময়ে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার করতে বারাণসী গিয়েছিলেন মমতা। তখনই দশাশ্বমেধ ঘাটে গঙ্গারতি দেখে মুগ্ধ হন। সেখান থেকে ফিরে এসে বারাণসীর মতো কলকাতাতেও গঙ্গারতি চালু করার জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ব্যবস্থা নিতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এই মর্মে প্রস্তাব পাশ করানো হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। সোমবার নবান্ন সভাগৃহে বিষয়টি ফের মনে করান মুখ্যমন্ত্রী। আবারও গঙ্গারতি শুরুর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন মেয়রকে। সঙ্গে সতর্ক করে বলেন, ‘কেউ যাতে জলে না পড়ে যায়, সেটাও ভালো করে নজরে রাখতে হবে। তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। দু’বছর সময় লাগে লাগুক। ব্যবস্থাটা যেন নিরাপদ হয়।’

Mamata Banerjee : বারাণসীর মতো কলকাতাতেও গঙ্গা আরতি, নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
তারক জানিয়েছেন, গঙ্গারতির জন্য প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাটের কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কিন্তু বাজে কদমতলা ঘাটে অনেক জায়গা রয়েছে। এখানে প্রতিমা বিসর্জন হয়। ফলে জায়গাটা লোকের কাছে খুবই পরিচিত। সামনেই বাসস্ট্যান্ড এবং চক্র রেলের স্টেশন রয়েছে। যাতায়াতের কোনও সমস্যা হবে না। এ ব্যাপারে অবশ্য কলকাতার থেকে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছে হাওড়া। সেখানে রামকৃষ্ণপুর ঘাটে বেশ কয়েক বছর ধরে গঙ্গারতি চলছে। বিশেষ করে শনি ও রবিবার ছুটির দিন প্রচুর দর্শনার্থী সেখানে ভিড় করেন। মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগেও কয়েক বছর আগে গঙ্গারতি চালু হয়েছে। কলকাতার নিমতলা ঘাটে ৭-৮ বছর ধরে গঙ্গারতির আয়োজন করছেন তৃণমূল কাউন্সিলর বিজয় উপাধ্যায়। তিনি জানান, গত জুনে গঙ্গা দশেরায় ভূতনাথ মন্দিরের কাছে বিশাল করে গঙ্গারতির আয়োজন হয়েছিল। এ বছর দেব দীপাবলিতেও গঙ্গারতি হয়েছিল কলকাতায়।

NRS Hospital : এনআরএসেও হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্ট, মেডিক্যালে হবে কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক
মঙ্গলবার সন্ধারতির জায়গা ঠিক করে ফেলল কোন্নগর পুরসভাও। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বারো মন্দির ঘাটে সন্ধ্যারতি শুরু হবে। এদিন নারকেল ফাটিয়ে গঙ্গা পুজোর মধ্য দিয়ে সন্ধ্যারতির কথা ঘোষণা করেন কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে গঙ্গার পাড়ে লোহার রেলিং বসানো হবে। চন্দননগর পুরসভার উদ্যোগেও গঙ্গারতি শুরু হবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *