হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, এক রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার জন্য অক্সিজেনের ভাল্ব (Oxygen Cylinder Valve) খুলছিলেন গায়ত্রী বসু রায় নামে হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া। সে সময় হঠাৎই সিলিন্ডারের ভালব ছিটকে এসে তাঁর চোখে লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালেরই চক্ষু বিভাগে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে সুপার ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি ওই আয়া প্রশিক্ষিত ছিলেন কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
আহত মহিলার এক আত্মীয় বলেন, “একজন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য উনি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অক্সিজেন ভাল্ব খোলার সময়ই সিলিন্ডারটি ফেটে যায়। ভাল্বটি ছিটকে এসে ওঁর চোখে লাগে। হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছে, ওঁর চোখের চিকিৎসা চলছে। এরপর অপারেশন করা হতে পারে।” কোনও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কিনা, নাকি, কর্মরত আয়ার অসাবধানতার জন্যেই এরকম ঘটনা ঘটল, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অব্যবস্থার ছবি লক্ষ্য করা যায় কিছু মাস আগেও। সরকারি হাসপাতালের মধ্যে অবাধ বিচরণ দেখা যায় কিছু বেড়াল ছানার। এমনকি রোগীদের বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্যে ব্যবহৃত হুইল চেয়ারে বসে রয়েছে বেড়াল। এরকম ছবি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। জেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালগুলির মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ৯৫০ বেডের এই হাসপাতালে নিত্যদিন গড়ে রোগী ভর্তি হয় প্রায় ১২০০ থেকে ১২৫০ জন। অন্যান্য ওয়ার্ডগুলির তুলনায় রোগীর চাপ বেশি থাকে মেল মেডিসিন, ফিমেল মেডিসিন সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে। বেডের অভাবে অনেক সময় রোগীদের মেঝেতে রাখার ব্যবস্থা করেও চিকিৎসা করানো হয়। রোগী ও বিড়ালছানাদের সহাবস্থান নিয়ে একাধিক সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলেই ক্ষোভ ছিল রোগীদের পরিজনদের একাংশের।