Mobile Addiction : মোবাইল ফোনে আসক্তি, মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী কিশোর – islampur mobile addicted teenager lost his life due to mother scolding


এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল৷ বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) ইসলামপুরের (Islampur) সুভাষনগর এলাকার চার নম্বর ওয়ার্ডে৷ পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই কিশোরের নাম সুমিত কীর্ত্তনীয়া (১২)। চোপড়া থানার (Chopra Police Station) সোনাপুরের বাসিন্দা সে৷ যদিও লেখাপড়ার জন্য ইসলামপুরের সুভাষনগর এলাকায় তার দাদুর বাড়িতে থাকত ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সুমিত৷ আরও জানা গিয়েছে, মোবাইলে মগ্ন থাকায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে আত্মঘাতী হয় এই কিশোর। এদিন শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় তার মৃতদেহ। খবর দেওয়া হয় ইসলামপুর থানার পুলিশ৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে (Islampur District Hospital) পাঠায়৷ পাশাপাশি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকায়৷

Raniganj News : বন্ধ ঘর থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেলেও, মোবাইল ফোনে গেম খেলায় মগ্ন ছিল ওই কিশোর। বারবার ডাকাডাকি করেও, বড় ছেলেকে ফোনে গেম খেলায় মগ্ন থাকতে দেখে ছেলের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন তার মা। আর এনিয়ে ছেলে বায়না শুরু করলে, মা ছেলেকে বকুনিও দেয় বলে দাবি। এরপরই অভিমানে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় বলেও দাবি। আরও দাবি, বন্ধ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এই কিশোর আত্মঘাতী হয়৷

Murshidabad News : মুর্শিদাবাদে স্কুল থেকে ফেরার পথে পাঁচিল চাপা পড়ে মৃত্যু শিশুর! জখম আরও ১
অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলায় তা ভেঙে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকেরা৷ আর ঘরে ঢুকেই ১২ বছরের কিশোরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে হতভম্ব হয়ে যান সকলে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে নামিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত কিশোরের মা৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।

Howrah Road Accident : উলুবেড়িয়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল ৩ বাইক আরোহীর
মৃতের মামা প্রশান্ত সরকার বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎ সকালে পাড়ার লোক চেঁচামিচি শুনে ঘুম ভাঙে৷ দেখি ভাগ্নার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ, সেটা ভাঙার চেষ্টা করছেন প্রতিবশীরা৷ দরজা ভেঙে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই৷ মোবাইল না দেওয়া নিয়ে আমার ভাগ্না গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে৷’’ স্থানীয় কাউন্সিলর গুরু দাস বলেন, ‘‘দাদুর বাড়িতে থাকা বছর বারোর সুমিত মোবাইলের জন্য বায়না করলে পরিবারে লোকজন তা না দেওয়ায় গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়৷’’ তাঁর দাবি, এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ৷ কেবল মোবাইল না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটাল ছেলেটি৷ মোবাইলের উপকারিতার থেকে এটা ক্রমশ সমাজের অপকারী বস্তু হয়ে উঠছে৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *