পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় হয়ে গেলেও, মোবাইল ফোনে গেম খেলায় মগ্ন ছিল ওই কিশোর। বারবার ডাকাডাকি করেও, বড় ছেলেকে ফোনে গেম খেলায় মগ্ন থাকতে দেখে ছেলের হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন তার মা। আর এনিয়ে ছেলে বায়না শুরু করলে, মা ছেলেকে বকুনিও দেয় বলে দাবি। এরপরই অভিমানে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় বলেও দাবি। আরও দাবি, বন্ধ ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এই কিশোর আত্মঘাতী হয়৷
অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলায় তা ভেঙে ঘরে ঢোকেন প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকেরা৷ আর ঘরে ঢুকেই ১২ বছরের কিশোরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে হতভম্ব হয়ে যান সকলে৷ সঙ্গে সঙ্গে তাকে নামিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মৃত কিশোরের মা৷ এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
মৃতের মামা প্রশান্ত সরকার বলেন, ‘‘সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎ সকালে পাড়ার লোক চেঁচামিচি শুনে ঘুম ভাঙে৷ দেখি ভাগ্নার ঘর ভিতর থেকে বন্ধ, সেটা ভাঙার চেষ্টা করছেন প্রতিবশীরা৷ দরজা ভেঙে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই৷ মোবাইল না দেওয়া নিয়ে আমার ভাগ্না গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে৷’’ স্থানীয় কাউন্সিলর গুরু দাস বলেন, ‘‘দাদুর বাড়িতে থাকা বছর বারোর সুমিত মোবাইলের জন্য বায়না করলে পরিবারে লোকজন তা না দেওয়ায় গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়৷’’ তাঁর দাবি, এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ৷ কেবল মোবাইল না দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটাল ছেলেটি৷ মোবাইলের উপকারিতার থেকে এটা ক্রমশ সমাজের অপকারী বস্তু হয়ে উঠছে৷