ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে বীরভূমের (Birbhum) রাজগ্রাম স্টেশনে (Rajgram Station)। জখম যুবকের নাম টুয়েল খান (১৯)। বাড়ি রাজগ্রামেই। মঙ্গলবার দুপুরে স্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল একটি মালগাড়ি। সেই সময় স্টেশনে দুই বন্ধু মিলে বেড়াতে এসেছিলেন। স্থানীয় যুবক টুয়েল খান ও সাম্বু শেখ প্রতিদিনই স্টেশনে ঘুরতে আসতেন বলে স্থানীয়দের দাবি। তাঁরা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে একসঙ্গে চা খান। এরপর দুই বন্ধু মিলে সেলফি তুলতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, আচমকা তাঁদের মধ্যে একজন লাইন টপকে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির ছাদে উঠে পড়েন। সাম্বু চিৎকার করে নিষেধ করলেও মালগাড়ির মাথায় উঠে হাঁটতে শুরু করেন টুয়েল। কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের উপরে দাঁড়িয়ে হাত উঁচু করে সেলফি তুলতে গেলে ওভারহেডের তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ঠ হয়ে যান তিনি। আগুন ধরে যায় পোশাকে। ট্রেনের ছাদ থেকে ছিটকে পড়ে যান পাশের রেল লাইনে। তাঁর পরনের জামাপ্যান্ট জ্বলতে থাকে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন দৌড়ে গিয়ে গায়ে জল দিয়ে আগুন নেভান। রেলপুলিশ (Railway Police) ও স্থানীয় লোকেরা টুয়েলকে উদ্ধার করে মুরারই গ্রামীণ হাসপাতালে ও পরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই যুবকের শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
জখম যুবকের বন্ধু সাম্বু শেখ জানান, “দুপুরে আমরা দুই বন্ধু মিলে স্টেশনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আচমকা টুয়েল মালগাড়ির উপরে উঠে সেলফি তুলতে থাকে। বিদ্যুতের তারে হাত লাগতেই ফুলকি দিয়ে আগুন জ্বলে ওঠে।”
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম শেখ বলেন, “স্থানীয় কিছু যুবক এরকম ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ভাইরাল করার জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে কিংবা স্টেশনে হাজির হচ্ছে। আজও তেমনই কিছু করতে গিয়ে এমন দুর্ঘটনা ঘটল।”