বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘রাজ্যে ১ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার, পুলিশের এএসআই থেকে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী, যিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও, তিনি বিধানসভা আসছেন না। স্বাস্থ্য দপ্তর নিয়ে প্রশ্নোত্তর হয় না।’ যদিও শুভেন্দুর এই বক্তব্য নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ডেঙ্গি এখন অনেক কমে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শেষ বেলায় রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে উনি (শুভেন্দু) চেচাঁমেচি করলেন। দিল্লির কাছে নাম্বার বাড়াতে এই কাজ করছেন।’
বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন সরকার কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করলে সভায় তা জানাতে হয়। কিন্তু এই রীতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানছে না বলে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, নবান্নে ডেঙ্গি নিয়ে যে প্রশাসনিক বৈঠক হয়েছে, তা নিয়ে সরকার কেন বিধানসভায় বিবৃতি দিচ্ছে না? যদিও এ দিন বিধানসভায় অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ডেঙ্গি প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিরোধী পক্ষ রোজ সব কিছু নিয়ে নাটক করে। বিধানসভার কাজ ব্যাহত করতে এই নাটক করা হয়। ডেঙ্গি নিয়ে বিজেপির বিধায়করা কি কোনও সচেতনতার প্রচার করেছেন? বিরোধী দলনেতা নিজে কি ডেঙ্গির সচেতনতা নিয়ে কোনও প্রচার করেছেন? ডেঙ্গি শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা দেশেই বেড়েছে।’ তবে শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘প্রশাসনিক বৈঠকে জেলাশাসকদের ধমকাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে ওঁরই পদত্যাগ করা উচিত।’
বিজেপির বিধায়করা এ দিন জামায় মশার ছবি সেঁটে এনেছিলেন। একই সঙ্গে মশার দু’টি ঢাউস কাট আউট নিয়ে তাঁরা হাজির হয়েছিলেন। অধিবেশন কক্ষ থেকে ওয়াকআউট করার পর সেই দু’টি কাউআউট নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বিজেপি। বিজেপির এই প্রতীকী প্রতিবাদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রিমা। তিনি বিধানসভায় বলেন, ‘বিজেপি বিধায়করা সোমবার জামায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, আবার তাঁরাই জামার সেই জায়গায় মশার ছবি সেঁটেছেন। এঁরাই রাষ্ট্রপতি সম্মান নিয়ে কথা বলছেন!’