
ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় ফের উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University)। উপাচার্যকেই ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা (Student Agitation)। উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakrabarty) বলেন, তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে ৷

হাইলাইটস
- ছাত্র বিক্ষোভের ঘটনায় ফের উত্তাল হয়ে উঠল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়
- উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা
- বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা
পড়ুয়াদের অভিযোগ
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে উপাচার্য নানা বেনিয়ম করে চলেছেন বিশ্বভারতীতে। আন্দোলনকারীদের ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। এমনকী, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন নানা বিষয় নিয়ে বুধবার উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে যান পড়ুয়ারা। কিন্তু, সেই সময় উপাচার্য খারাপ ব্যবহার করেন বলে দাবি ছাত্রছাত্রীদের। যদিও সেই সময় দাবদাওয়া জানানোর জন্য নাছোড় ছিলেন পড়ুয়ারা। সেই সময় উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ। তাঁদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ধস্তাধস্তিও বাধে। এর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘেরাও চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
কী বলছেন বিক্ষোভকারীরা?
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশ্বভারতীর পড়ুয়া সোমনাথ সৌ বলেন, “আমরা দশ দিন আগেই জানিয়েছিলাম আমাদের দাবি-দাওয়া পেশের কথা। সচীবের কাছে তা পেশ করতে বলা হয়েছিল। সাতদিন আগে তাও জমা দিয়ে সাতদিনের মধ্যে উত্তর চেয়েছিলাম। কিন্তু, তা না মেলায় এদিন উপাচার্যের কাছে এসেছিলাম। আমরা আসতেই উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের আমাদের দিকে এগিয়ে দিয়েছেন। এমনকী, আমাদের উপরগুলি চালাতে বলেছেন।”
পড়ুয়াদের ক্ষোভ, গত পাঁচ বছর ধরে এক নায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন উপাচার্য। যাকে খুশি তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজ করা, বদলি করা, কারও বেতন বন্ধ করে দেওয়া এই সব বিষয়গুলি প্রতিদিনকার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাদ যাননি পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরাও। হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও সোমনাথ সৌয়ের ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের পিএইচডি আটকে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সব অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন পড়ুয়ারা। অবশেষে আর রাগ চেপে রাখতে না পেরে বুধবার তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই ক্ষোভ থেকেই এদিন উপাচার্যকে ঘেরাও করেন তাঁরা।
এদিকে পড়ুয়াদের ঘেরাও আন্দোলন নিয়ে ক্ষুব্ধ উপাচার্য বলেন, “দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু, আমাকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমার দুঃখ হচ্ছে যে, রবীন্দ্রনাথে ঠাকুরের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অভদ্রতা শুরু হয়েছে। আমার কাছে এর প্রমাণও আছে। আমি নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ