রাজ্যপালকে বিশেষ উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, কর্মজীবনের শুরুতে বেশ কিছু সময় কলকাতায় কাটিয়েছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কেরালার বাসিন্দা একসময় এ শহরের একটি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় শহরের একটি দোকানের তৈরি বিশেষ রসোগোল্লা ছিল তাঁর অত্যন্ত প্রিয়। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানিয়েছিলেন রাজ্যের নয়া ফার্স্ট সিটিজেন। আর তাই কলকাতায় সেই সময়কার স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই রাজ্যপালকে রসোগোল্লা পাঠিয়ে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ টাকা করে সেই রসোগোল্লা দু’টি নীল সাদা হাঁড়িয়ে রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই।
মঙ্গলবারই কলকাতা শহরে পা রেখেছেন সি ভি আনন্দ বসো। আর মঙ্গলের সন্ধ্যাতেই তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন তিনি। তাঁকে সকালেই গার্ড অফ অনার দিয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। ৭১ বছর বয়সি মালয়ালি, অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার আনন্দ বোসের প্রশাসক হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সচিব হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মেঘালয় সরকারের উপদেষ্টা পদেও তিনি কাজ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শিগ্গিরই আনন্দ বোস দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ-পর্ব সেরে আসবেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন একটা করে নতুন বাংলা শব্দ শিখবেন।
প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি হওয়ার পর মেঘালয়ের রাজ্যপাল লা গণেশনকে অস্থায়ী ভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে যখন বারবার সংঘাত লাগত রাজ্যের তখন লা গণশনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুসম্পর্কই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তা নিয়ে রাজ্য BJP নেতৃত্ব ঠারেঠোরে একাধিক বার বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন।