নিহত অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে (Bankura Sammilani Medical College) পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা, এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে আটক করা হয়নি।
জয়দেব গোস্বামী নামে স্থানীয় এক গ্রামবাসীর দাবি, “ফোন না তোলায় তাঁর মেয়ে আমাকে একবার গিয়ে দেখে আসতে বলেছিল। দরজা ধাক্কা দেওয়ার পরও না খোলায়, আমি পিছনের দরজা খুলে দেখি সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় ভারতীর নিথর দেব পড়ে রয়েছে।” মহিলার ভাসুর দিলীপ গোস্বামী এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার দোকানে আছে। দোকান বন্ধ করার সময় এক গ্রামবাসীর থেকে জানতে পারি যে ভারতী দরজা খুলছে না। আমি দোকান থেকে এসে দেখি এই অবস্থা। এটা খুনের ঘটনা, কারা জড়িত আমি বলতে পারব না। বাইরে থেকে দরজার শিকল বন্ধ ছিল। বউমার সুদের ব্যবসা ছিল, সেই কারণে তাঁকে খুন করা হতে পারে। আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক ভাল ছিল না, তাই এর বেশি কিছু বলতে পারব না।”
নিহত মহিলার এক আত্মীয় কিষাণ গোস্বামী বলেন, “আমরা ঠিক বুঝে ওঠতে পারিনি ঠিক কী হয়েছিল। সামনের দরজায় ধাক্কা দিয়ে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পিছনের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ ছিল। দরজার শিকল খুলে রক্তাক্ত অবস্থায় কাকিমাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। মেঝেতে প্রচুর রক্ত ছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। খুন না আত্মহত্যা আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। তবে পুলিশ এই ঘটনাকে খুন বলেই মনে করছে।”