কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। বাস যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে (Jhargram Super Speciality Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো। তিনি পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে পৌঁছন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক সুনীল কুমার আগরওয়ালা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস দুর্ঘটনায় মোট ২৮ জন যাত্রী ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। তার মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর নেই । ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পরে পুলিশ গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে সরানোর ব্যবস্থা করে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগের চেষ্টা করছে পুলিশ। কীভাবে দুর্ঘটনা, সেটা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, হতে পারে বাসের সামনে কোনও সাইকেল কিংবা ভ্যান চলে আসায় পাশ কাটাতে গিয়েই দুর্ঘটনা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা সকালে হঠাৎ একটা ভীষণ জোরে শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। কী হয়েছে দেখতে বেরিয়ে আসি। দেখি, বাসটা পুরো কাত হয়ে উলটে গিয়েছে। যাত্রীরা ভিতরেই আটকে পড়েছিলেন। তাঁদেরকে আমরাই প্রথমে বার করে আনতে থাকি।” গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ঘটনায় সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রেষারেষি বা ওভারটেক করতে গিয়ে যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে আবারও পরিবহন কর্মীদের সচেতন করা হবে এবং পুলিশ জরিমানা সহ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।