জানা গিয়েছে, ২ নম্বর ওয়ার্ডের দেপেন টাকুরি, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিতম লামা, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণু মাল্লা, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাজেশ প্রধান এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের শরন ছেত্রী এই পাঁচজন হামরো পার্টির নির্বাচিত প্রতিনিধি অনীত থাপার দলে যোগ দিয়েছেন। যে কারণে হামরো পার্টির (Hamro Party) হাতে সংখ্যা থাকছে ১৩। উল্লেখ্য, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অমর লামা জিটিএ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য পদত্যাগ করেন। সেই থেকে ওয়ার্ডটি কাউন্সিলর শূন্যই রয়েছে।
দার্জিলিং পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩২। গত পুরসভা ভোটের ফলাফল অনুযায়ী এর মধ্যে হামরো পার্টির দখলে ছিল ১৮ টি আসন। বিজিপিএমএর ৯টি আসন, তৃণমূল কংগ্রেসের ২টি এবং বাকি ৩টি আসন ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার (GJM) দখলে। গত জুনে অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা জিটিএ-র (GTA) দখল নেয়। সেখানে হামরো পার্টি আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। এদিকে কিছুদিন আগেই জিটিএ-র দুই সদস্য হামরো পার্টি ছেড়ে অনীত থাপার দলে যোগদান করেন। বৃহস্পতিবার কার্শিয়াংয়ে হামরো পার্টির পাঁচ কাউন্সিলর ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগদান করায় ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার আসন ৯ থেকে বেড়ে ১৪ হয়ে দাঁড়াল। তৃণমূলের সমর্থনে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতাও পেয়ে গিয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই আরও এক হামরো পার্টির কাউন্সিলর দলবদল করবেন বলে দাবি বিজিপিএমের।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর পাহাড়ে জন্ম নেয় হামরো পার্টি। দার্জিলিঙের রাজনীতিতে নতুন সংযোজন নিয়ে আসে বিখ্যাত গ্লেনারিজ রেস্তরাঁর কর্তা অজয় এডওয়ার্ডের দল। কিন্তু জিটিএ নির্বাচনের পর থেকেই রাজনৈতিক পালাবদল হতে শুরু করে পাহাড়ে। তাঁর দলের সদস্যদের ‘ভাঙিয়ে নেওয়া হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেন অজয় এডওয়ার্ড। এমনকী সেই মর্মে চিঠিও লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অনীতের বিরুদ্ধে অজয়ের দল ভাঙানোর অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে বিজিপিএম। ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ উড়িয়ে অনীত থাপা বলেন, “পাহাড়ে শান্তি বজায় রেখে উন্নয়নের কাজ করে যাওয়াই আমার কাজ। সেখানে অনেকেই আমাদের পাশে আসছেন। আরও আসবেন।” কিছুদিনের মধ্যেই নতুন পুরপ্রধানের নাম ঘোষণা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।