বৃহস্পতিবার সকালেই বিধানসভা (West Bengal State Assembly) থেকে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার কারণে সরকারের “সব টাকা চলে যাচ্ছে” বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেটা যে সরকারেরই কর্মফল, সেটা এদিন বুঝিয়ে দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপ বলেন, “যাঁরা পরীক্ষায় বসেনি, বা ফেল করেছেন, তাঁদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, লোক তো কেস করবেই। কোনও পরীক্ষা, কোনও নিয়োগ স্বচ্ছভাবে হয় না।” বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে টেনে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “আদালতে লড়তে লড়তে সব টাকা চলে যাচ্ছে। কথায় কথায় আদালতে চলে যাচ্ছে। তাই নতুন করে নিয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমি আদালতকে আবেদন করব যাতে মানুষের সুবিধা হয়।” দিলীপের পালটা, “মানুষ কী করবে আর ? তাঁদের অধিকারের জন্য কোর্টে যাচ্ছে। কোর্টে গিয়েছে বলেই তো CBI তদন্ত হয়েছে, সত্যটা সামনে আসছে। না হলে তো হতো না কোনওদিন।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক বৈঠকে জোর গেরুয়া শিবিরের। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর (Kharagpur) গ্রামীণ এলাকায় কলাইকুন্ডাতে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন BJP-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সংসদ দিলীপ ঘোষ। রাজ্যে যথেচ্ছ বোমা, গুলি, অস্ত্র উদ্ধার নিয়েও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ। সাংসদ বলেন, “সারা রাজ্যে জেলায় জেলায় বোম, বন্দুকের আওয়াজ। তৃণমূল নেতাদের বাড়িতেই গুলি, বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে। নিজেরাই মারামারি করছে। পুলিশ যাচ্ছে, পুলিশকেও গুলি মেরে দিচ্ছে। এই যে রাজ্য আইন শৃঙ্খলাহীনতা, এর জন্য রাজ্য জুড়ে মানুষের মনে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।” আদতে রাজ্য সরকার এই পরিবেশ ‘ইচ্ছে করেই’ করছে বলে মত দিলীপের।
তাঁর মত, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জন সাধারণ যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়, তার জন্যেই এরকম পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে (Visva Bharati University) অচলাবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় তাঁকে। শিক্ষাঙ্গণে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়া নিয়েও রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেন BJP সাংসদ।