পঞ্চায়েত সচিবকে আটকে রাখার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় শ্যামপুর থানার পুলিশ। ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ এক সপ্তাহের মধ্যে পানীয় জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার নুনেবাড় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গ্রাম সংসদ বসেছিল। সভায় গ্রামবাসীরা ছাড়াও পঞ্চায়েত সচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হতেই পরিশ্রুত পানীয় জল ও কলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পঞ্চায়েতের তরফে পানীয় জলের কল বসানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা এখনও কেন পূরণ হয়নি, পঞ্চায়েত সচিবকে সেই প্রশ্ন করে গ্রামবাসীরা।
পঞ্চায়েত সচিব সহ অন্যান্য আধিকারিকরা যথাযথ উত্তর দিতে না পারায় তাঁদের স্কুলের গেটে তালা বন্ধ করে ভিতরে আটক রাখেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এলাকায় প্রায় তিন বছর ধরে পানীয় জলের কল খারাপ। পানীয় জলের অভাব থাকলেও পঞ্চায়েতের তরফে সমস্যা সমাধানে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমার সচিবকে আটকে রেখেছি। টিউব ওয়েল বরাদ্দ হয়েও গেলেও এখনও সেই কাজ হয়নি। পানীয় জল আনতে আমাদের দেড় দু কিলোমিটার যেতে হচ্ছে। জলের অভাবে আমার খুবই সমস্যার মধে রয়েছি।”
অন্যদিকে গুরুতর অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা কৌশিক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করেছে। সেই কারণে পঞ্চায়েত ইচ্ছে করে পানীয় জলের কল তৈরি করে দিচ্ছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের বিস্তর সমস্যা হচ্ছে।” কমলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলি আসগরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।