চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে আসছেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। উপরাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম রাজ্যে পা রাখছেন তিনি। তাঁকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বীরবাহা হাঁসদা এবং জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। উল্লেখ্য, বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নির্বাহের সময় একাধিকবার রাজ্য রাজ্যপাল ‘সংঘাত’ প্রসঙ্গ শিরোনামে এসেছিল। একুশের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যে হিংসা হচ্ছে, এই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছিলেন তিনি। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল ধনখড়কে। যদিও তাঁর যাবতীয় দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছিল তৃণমূল। এমনকী, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি বাধ্য হয়েছি ওঁকে ব্লক করার জন্য। বারবার বিরক্ত করছিলেন। তিনি সবার মাথার উপর বসে থাকবেন। তাঁর কথামতো সব হবে! আমরা তো চাকরবাকর। রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে তাঁর কথা মেনে চলতে হবে! আমি বাধ্য হয়েছিলাম ওঁকে ব্লক করতে। এমন কথা বলতেন যেন তিনি এই রাজ্যের সুপার পাহারাদার!”
জগদীপ ধনখড়ও সেই সময় পালটা বলেছিলেন, “এটা ইগোর লড়াই নয়…”। তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয় লা গণেশনকে। বুধবার রাজ্যের পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেখানে দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
জগদীপ ধনখড়ও সেই সময় পালটা বলেছিলেন, “এটা ইগোর লড়াই নয়…”। তিনি উপরাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল হিসেবে নিয়োগ করা হয় লা গণেশনকে। বুধবার রাজ্যের পূর্ণ সময়ের রাজ্যপাল হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেখানে দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
পরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন তিনি। পাশাপাশি ফেসবুকে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ। বিভাগীয় মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই উক্ত অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বসার স্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
বিরোধী দলনেতার বসার আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে। এই দুজনেরই বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধায়ক পদ খারিজের শুনানি চলছে। আগামী দিনে এরা বিধায়ক থাকবেন কিনা সংশয় রয়েছে…”। তিনি ক্ষোভ উগরে দাবি করেছিলেন, “অসভ্য রাজনীতির লজ্জাজনক উদাহরণ।” পরে অবশ্য তিনি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।