স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বারুইপুরের ধোপাগাছি এলাকায়। অপহৃত ব্যবসায়ীর (Businessman Kidnap) পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, তিনটি অটো করে আসে জনা দশেক লোক। তারা আব্দুল হালিম সর্দার নামে ওই ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায়। হালিমের স্ত্রী মিনা সর্দার জানান, তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন। লোকের মুখ থেকে জানতে পারেন, তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মিনা জানান, তাঁর ফোনে একবার ৩৩ লাখ টাকা চাওয়া হয়। তারপর কয়েকবার স্বামীর ফোন থেকে বলা হয়, টাকা না দিলে তাঁর কিডনি কেটে নেওয়া হবে। কখনও বলা হয়, স্বামীকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলা হবে। অপহৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আনোয়ার তাঁদের পরিচিত বলে জানান মিনা।
ঘটনাস্থলে আব্দুল আজিজ শেখ নামে এক যুবক উপস্থিত ছিলেন। যারা অপহরণ করে নিয়ে যায়, তাদের কয়েকজন পরিচিত ছিল বলে অভিযোগ।
আনোয়ার বলে এক যুবক ছিল অপহরণকারীদের দলে। এ ছাড়া পারুল বিবি নামে এক মহিলাও ছিল বলে অভিযোগ। প্রতক্ষ্যদর্শী জানিয়েছেন, আনোয়ার হালিমের দোকানে এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলছিল। এরপরেই তিনটি অটো আসে ঘটনাস্থলে। অটো থেকে কয়েকজন নেমে আসে। আনোয়ার আর অটো থেকে নামা লোকেরা হালিমকে অটোয় তুলে নিয়ে চলে যায়। আজিজ বলে, “আমি বাধা দিতে গিয়েছিলাম। আমাকে চার-পাঁচজন চেপে ধরেছিল। পরে দাদাকে নিয়ে ওরা অটোয় চেপে চলে যায়।”
এরপরেই খবর পাঠানো হয় অপহৃত ব্যবসায়ী আব্দুল হালিমের বাড়িতে। বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার বেশকিছু পরে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে ব্যবসায়ীর বাড়িতে। পুরো ঘটনায় হতবাক হয়ে যান অপহৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজন। কোনও উপায় না দেখে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অপহৃত ব্যবসায়ীকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উদ্ধারের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অপহরণকারীদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করে ফেলার কারণে পুলিশের তদন্তে অনেকটা সুবিধা হবে বলেই জানানো হয়েছে।