দিল্লির পাশাপাশি মেঘালয় সফরেও যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, আগামী ১২ ডিসেম্বর তিনদিনের সফরে মেঘালয় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে সেখানে টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। অসম-মেঘালয় সীমানায় গুলি চলার ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একটি টুইট করে তিনি লিখেছিলেন, “মেঘালয়ের মুখরোতে গুলি চলার ঘটনায় আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। ঘটনায় ছয়জনের প্রাণ গিয়েছে বলেও জানতে পেরেছি। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। কামনা করছি বৃহত্তর স্বার্থে যেন এই অঞ্চলে দ্রুত শান্তি ফিরে আসে।”
এদিকে, মঙ্গলবার ভোররাতে আচমকাই উত্তেজনা ছড়ায় অসম এবং মেঘালয়ের সীমানায়। সেখানের মুখরো (Mukroh) গ্রামে গুলি চলার ঘটনায় মারা গিয়েছেন ছয়জন। এদের মধ্যে পাঁচজন মেঘালয়ের বাসিন্দা এবং অন্যজন অসমের এক বনরক্ষা কর্মী। এই ঘটনার জন্য ইতিমধ্যেই অসম সরকারকে দায়ী করেছেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী। মেলালয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও CBI তদন্তে সায় দিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, “পুলিশ যদি আরও কিছুটা সংযত হতে পারত।”
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কোনারড সাংমা জানিয়েছেন, মুখরো গ্রামের ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করছে মেঘালয় সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে গিয়েছে অসম মেঘালয় সীমানায়। অসম থেকে আসা একটি ট্রাকে মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সেইজন্য বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জয়ন্তিয়া, খাসি এবং রিভয় সহ সাতটি জেলায় ইন্টারনেট সাসপেন্ড করা হয়েছে। একাধিক বাঙালি পর্যটকও এই মুহূর্তে শিলং বেড়াতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছেন।