আগামী দিনে কয়লার উৎপাদন আরও বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে বলেও দাবি করেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী। কয়লা উত্তোলনে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের কয়লা নীতি ফলপ্রসূ ভূমিকা নেবে বলেও দাবি করেন তিনি বলেন, “এবার আমাদের ডোমেস্টিক উৎপাদন হবে ৯০০ মিলিয়ন টন৷ ২০১৪ সালে ৫৭২ মিলিয়ন ছিল৷ প্রায় ডবল উৎপাদন হচ্ছে৷” তাঁর দাবি, এই রেকর্ড লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে শ্রমিকদের জন্য৷ কয়লা উত্তোলনে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছবে দেশ এবং প্রধানমন্ত্রীর যে লক্ষ্য আছে, সেটা পূরণ করবেন বলেও দাবি করেন তিনি৷
এদিন কয়লাখনিতে শুধু যাওয়াই নয়, খনির গর্ভে একেবারে শেষ পর্যন্ত পৌঁছলেন প্রহ্লাদ যোশী৷ ২২৫ মিটার পথ অতিক্রম করে এসে সেই অভিজ্ঞতার কথাও জানালেন তিনি৷ তিনি বলেন, “২২৫ মিটারের বেশি নীচে আমি গিয়েছিলাম৷ আমি অনেক কয়লাখনিতে গিয়েছি আগে৷ আমার অভিজ্ঞতা আছে৷ তবে এত নীচে এই প্রথমবার গেলাম৷ এত নীচে গিয়ে আমাদের কয়লা খনির কর্মচারী এবং আধিকারিকরা কাজ করেন৷’’
এদিন শোনপুর বাজার কোলিয়ারি পরিদর্শন করার পর লাউদোহার ঝাঁঝরা প্রজেক্ট কোলিয়ারি পরিদর্শনে যান কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী৷ খনি গর্ভে প্রায় এক ঘণ্টার মতো ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কথা বলেন কোলিয়ারি আধিকারিকদের সঙ্গেও৷
রাষ্ট্রের সম্পত্তি, একে রক্ষা করার দায় রাজ্য ও কেন্দ্র দুই সরকারের, কিন্তু বেআইনি কয়লা খাদান বা চুরি রুখতে প্রথম রাজ্য সরকারকেই ব্যবস্থা নিতে হবে৷ বারবার সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে চিঠি দিয়ে এই বেআইনি কয়লা চুরি রুখতে সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার কথা জানানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি৷ কেন্দ্রের তরফে যা করণীয় সেটা করা হলেও, রাজ্যের হাতেই থাকে আইনশৃঙ্খলা, এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর৷
