Mahua Moitra : গোষ্ঠী কোন্দল নয়, নদিয়ার তৃণমূল নেতার খুনে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’ দেখছেন মহুয়া – mahua moitra trinamool congress mp talks about nadia district trinamool congress murder case


নদিয়ার তৃণমূল নেতা (Nadia TMC Leader) খুনের ঘটনায় নওদা থানায় দশজনের নামে অভিযোগ দায়ের করল মৃতের পরিবার। দশজনের তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে সফিউর জামান শেখ ওরফে হাবিব শেখের। এছাড়াও, নাম রয়েছে নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ও ফিরোজ শেখের নামও। ফিরোজ শেখ হাবিব শেখের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এলাকায়। তৃণমূল নেতা হত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব। যদিও ‘গোষ্ঠী কোন্দল’ নয়, ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের’ কারণেই ওই তৃণমূল নেতা খুন হয়েছেন বলে মত তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রর। ঘটনায় সিআইডি (CID) তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার।

Murshidabad News: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে দলীয় কোন্দল?
শুক্রবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Murshidabad Medical College And Hospital) তৃণমূল নেতার ময়নাতদন্তে হাজির ছিলেন নদিয়ার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল নেতা মতিরুলের খুনের ঘটনায় মৃতের পরিবার অভিযোগ পত্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের নাম দেওয়ায় প্রকট হয়ে ওঠে গোষ্ঠী বিবাদের বিষয়টি। তবে মহুয়া জানান, “আমার পক্ষে সঠিক না জেনে বলা শোভা পায় না। এটা কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাবার জায়গা নয়। ঝাল ঝাড়ার জায়গা নয়। যারা এগুলি করছে তাদের আমি অনুরোধ করব এটা করবেন না। পুলিশ তদন্ত করছে পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে।” অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। পুলিশ সঠিক পদ্ধতি মেনেই অপরাধীদের গ্রেফতার করুক এটাই বলেছি।” পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের তালিকায় বাকি আটজনও নদিয়ার বাসিন্দা। নওদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তবে এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি নওদা থানার পুলিশ।

Murshidabad Murder Case : খুনের পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ নদিয়ার তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীরা? মতিরুল-হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নওদার শিবনগরে এলাকায় সন্ধ্যায় খুন হন মতিরুল ইসলাম। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুস্কৃতীরা। পরে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায়। স্থানীয় বাসিন্দারা মতিরুলকে উদ্ধার করে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় মতিরুলের। তবে ঘটনাস্থল থেকে দুই নিরাপত্তা রক্ষী পালিয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সাংসদ মহুয়া বলেন, “আমি যা জানলাম, যখন দুষ্কৃতীরা বোমা ছেড়ে তখন দেহরক্ষী একদিকে আর মতিরুল আরেক দিকে পালায়। তখন ওরা পিছন দিক থেকে মতিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি করে।”

Murshidabad News : রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার অব্যাহত! মুর্শিদাবাদে ধৃত ১, উদ্ধার ৫ টি পিস্তল সহ কার্তুজ
ইতিমধ্যে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে মতিরুল ইসলামের মৃত্যুতে। গুলি বোমা চালানো হলেও দুই নিরাপত্তারক্ষী কী করছিলেন ? গুলি চালনার সময় কাউকে চিহ্নিত করা গিয়েছে কিনা? এরকম একাধিক প্রশ্নের জট এসেছে তদন্তকারী পুলিশের সামনে। নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা বলেন, “আমার সঙ্গে বাবা মেয়ের সম্পর্ক। রাজনৈতিক ভাবে পেরে না উঠে আমার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা থেকে এরকম অভিযোগ করেছে। এর পেছনে ওখানকার বিধায়ক তাপস সাহার হাত রয়েছে।” পালটা তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, ” এরা তো বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিজেপি করেছে। আমি উচ্চ নেতৃত্বকে এটা জানিয়েছি। চিঠি লিখে জানিয়েছি। তবে গোষ্ঠী কোন্দল নয়। এর মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল নেই। তবে এটা পূর্ব পরিকল্পিত। পুরো পরিকল্পনা করে ওঁকে খুন করা হয়েছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *