রিনাদির হাতের ঘুগনি ছিল মুখ্যমন্ত্রীর ফেভারিট
বিধানসভা (West Bengal Assembly) কক্ষে চা চক্রের আয়োজনের কথা বলতে গিয়েই রিনাদির কথা মনে পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর। বিধানসভা সূত্রে খবর, গত রিনা সামুই একজন ক্লাস ফোর স্টাফ ছিলেন। তিনি রাইটার্স বিল্ডিংয়ে কাজ করতেন। পরিষদীয় দফতরে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁকে পছন্দ হওয়ায় রিনা সামুইকে বিধানসভায় নিয়ে আসেন। প্রিয় রিনাদির হাতে তৈরি ঘুগনি খেতে পছন্দ করতেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় এলেই তাঁর সঙ্গে ঘুগনি রেঁধে আনতেন তিনি। শুধু তাই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সময় মতো চা করে এনে দিতেন তিনি। রিনাদির হাতের বিশেষ চাও খুব পছন্দ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। চা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের সমস্ত খাবারের তালিকাও নখদর্পণে ছিল বিধানসভার এই কর্মীর।
রিনা সামুইয়ের ছেলে ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছে। এ কথাও এদিন গর্বের সঙ্গে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভার অনুষ্ঠানে বারবার সেই প্রিয় রিনাদির কথাই ঘুরে ফিরে আসে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister) বক্তব্য রাখার মাঝেই জানান, বিধানসভার (West Bengal Assembly Museum) এই অডিটোরিয়াম সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে গেলে সেখানে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা আসবেন কলকাতায়। তাঁদের নিয়ে একটি চা চক্রের আয়োজন করার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই চা চক্রের আয়োজনের আর্জি জানান।
তথ্য সৌজন্যে- তাপস প্রামাণিক