হরিদ্বার, বেনারসের মত এ রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় গঙ্গা আরতি হোক এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গত ২২ শে নভেম্বর কোন্নগর পুরসভার পক্ষ থেকে বারো মন্দির ঘাটের সন্ধ্যা আরতির জায়গা ঠিক করা হয়। নারকেল ফাটিয়ে, শঙ্খ, ঘণ্টা বাজিয়ে গঙ্গা পুজোর মধ্যে দিয়ে গঙ্গা আরতি ঘোষণা করেছিলেন কোন্নগর পুরসভার (Konnagar Municipality) চেয়ারম্যান স্বপন দাস। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় আরতি। গঙ্গার ঘাটে এমন একটা পরিবেশ পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। কোন্নগরের (Konnagar) শঙ্করাচার্য মঠের ২৫ জনের পুরোহিত এই গঙ্গা আরতি করেন। পুরসভা জানিয়েছে, নিয়মিত সূর্য অস্ত যাওয়ার মুখে এই গঙ্গা আরতি শুরু হবে। হরিদ্বারের মতো কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটকে কোন্নগর পুরসভার (Konnagar Municipality) পক্ষ থেকে রেলিং-এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে দুর্ঘটনা এড়াতে। আরতি দেখার জন্য গ্যালারিরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান পুরপ্রধান।
আরতি দেখতে পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও। স্থানীয় বাসিন্দা প্রীতি সরকার ও চন্দ্রানি সরকার বলেন, “অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব হয় না তাই হাতের নাগালে আরতি দেখতে পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করিনি। তবে রোজ আসা সম্ভব হবে না তবুও চেষ্টা করব মাঝেমধ্যেই আসার। ভিডিয়োতে অনেক সময় দেখি তবে সামনা-সামনি দেখে বেশ ভালো লাগলো।” কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, “মানব জীবনে মা গঙ্গার আশীর্বাদ পেতে গেলে গঙ্গা আরতি করলে সন্তুষ্ট হন। মুখ্যমন্ত্রী যে পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে হেটেই চিরদিনের জন্য চালু হল এই আরতি।”
গত সোমবার কলকাতা এক অনুষ্ঠানে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) প্রশ্ন করেছিলেন, “কেন আমাদের রাজ্যে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা যাবে না?” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদেরও গঙ্গা আরতির ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে দু’বছর সময় লাগলে কিছু যায় আসে না। কিন্তু দেখতে হবে, লোকে যাতে পড়ে না যায়। এমন একটা জায়গায় করতে হবে যেখানে মন্দির আছে। যেখানে একটু বসার জায়গা আছে। কলকাতা পুরসভাকে আমি এই দায়িত্ব দিচ্ছি।”