
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার সাম্মানিক ডি.লিট পেতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০১৮ সালে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডি.লিট দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী নিজে এই সম্মান তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেবার এই ডি.লিট সম্মান প্রদান নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে। এমনকী সম্মানের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতেও দায়ের হয় মামলা।
সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক অবদানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডি লিট সম্মানে ভূষিত করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University)। এই সম্মান নিয়ে বিতর্কে মর্মাহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সম্মান গ্রহণের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমি খুব সাধারণ। আমার জীবন অবহেলা, অসম্মানের, সংগ্রামের। সারা জীবন লড়াই করেছি। এই সম্মান দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও আমাকে কম অসম্মান করা হয়নি। আসব কিনা তা নিয়েও ভেবেছিলাম। আপনারা আমার জীবন পূর্ণ করে দিয়েছেন। আজকের দিনটি জীবনের মণিকোঠায় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এর থেকে বড় সম্মান জীবনে আর কিছু চাই না। আজ আমি ধন্য। এই সম্মান আমার কর্মপ্রেরণা আরও বাড়িয়ে তুলবে। মানুষকে নিয়েই বাঁচব। আমি শুধু ভালোবাসার কাঙাল।’
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (Calcutta University) ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি-ও সাম্মানিক ডক্টরেট দেয়। এবার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট প্রদান সম্পূর্ণ হলে মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে জুড়বে নয়া পালক।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।