Murshidabad Murder Case : খুনের পর থেকেই ‘নিখোঁজ’ নদিয়ার তৃণমূল নেতার দেহরক্ষীরা? মতিরুল-হত্যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য – murshidabad trinamool congress leader murder case monirul shaikh family will file complain today


নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে মতিরুল ইসলামের মৃত্যুতে। গুলি বোমা চালানো হলেও দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী এখন কোথায়? তারা কি আহত? ঘটনার পর থেকে দু’জনে বেপাত্তা কেন? খুনের ঘটনায় বারবার নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহেরের ভাগ্নে হাবিব শেখের নামই বা উঠে আসছে কেন? এরকম একাধিক প্রশ্নের জট এসেছে তদন্তকারী পুলিশের সামনে। তেহট্টের (Tehatta) বিধায়ক তাপস সাহা নিহত তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নওদা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন আজই। সেখানেই অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে খবর।

Murshidabad News: পঞ্চায়েত ভোটের আগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন, নেপথ্যে দলীয় কোন্দল?
মৃত TMC নেতা মতিরুল ইসলাম ও হাবিব শেখ দু’জনে ব্যাবসায় পার্টনার। ইটভাটার মালিকানা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকেই টানাপোড়েন চলছিল বলে পরিবার সূত্রে খবর। সেই ঘটনার সঙ্গে মতিরুল ইসলামের মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র কি রয়েছে? উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, মতিরুল যে এলাকার সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে ছিলেন সেই এলাকা আবু তাহেরের (Abu Taher Khan) সাংসদ এলাকায় পরে। এলাকায় রাজনৈতিক দায়িত্বও রয়েছে আবু তাহেরের কাঁধে। দুই জেলার দুই নেতার রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছিল বলেও একটা অংশের দাবি। চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন নদিয়ার দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। যদিও আবু তাহের খান গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন। ঘটনায় বোমার সঙ্গে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Murshidabad News : রাজ্যে অস্ত্র উদ্ধার অব্যাহত! মুর্শিদাবাদে ধৃত ১, উদ্ধার ৫ টি পিস্তল সহ কার্তুজ
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নওদায় গিয়েছিলেন নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম। মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সে সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তারপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাইক থেকে পড়ে গেলে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *