শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুধীরকুমার জৈনের এজলাসে অনুব্রতর দায়ের করা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জন্য ইডি-র তরফে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে দায়ের করা আবেদনকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে ওই মামলায়৷ এদিন শুনানির শুরুতেই অনুব্রতর হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কপিল সিবাল প্রসঙ্গ তোলেন, বেশ কিছু দিন আগে অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী (এখন তিহার জেলে বন্দি) সেহগল হোসেনের তরফে দায়ের করা একটি মামলা। বাংলার মাটিতে দায়ের করা মামলার বিচার করার এক্তিয়ার আদৌ দিল্লির নিম্ন আদালতের (রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট) আছে কি না, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল সেহগল হোসেনের ওই মামলায়৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশমিত সিংয়ের এজলাসে ওই মামলার একটি শুনানিও হয়েছে।
এদিন শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুধীরকুমার জৈনের সামনে কপিল সিবাল প্রশ্ন তোলেন- ‘কী রহস্যজনক বিষয় দেখুন মাই লর্ড! একই আদালতের দু’টি এজলাসে একই বিষয় নিয়ে দু’টি আবেদনের শুনানি হয় কী করে? আপনি স্থির করুন সব আবেদনের শুনানি এই এজলাসেই হবে, নাকি অন্য এজলাসেই সব আবেদনের শুনানি হবে৷ আমাদের কোনও জায়গাতেই যেতে সমস্যা নেই৷ তবে আমরা একটি জায়গাতেই যেতে চাই৷’ সিবালের তোলা যুক্তির সঙ্গে একমত হন বিচারপতি৷ প্রথমে তিনি জানান, দিন দশেক পরে হবে মামলার শুনানি। পরে ইডি-র আইনজীবীর আপত্তিতে শুনানির দিন এগিয়ে আনা হয়৷ দু’পক্ষের সম্মতিতে স্থির হয়, ১ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টেই হবে অনুব্রতর মামলার পরবর্তী শুনানি৷
এদিন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ ১৪ দিন বাড়িয়ে দেন। এর পর আদালত থেকে আসানসোল জেলে ফেরত যাওয়ার আগে বীরভূম জেলা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে একদফা আলোচনা সেরে নেন কেষ্ট। এক পুলিশ অফিসার তাঁকে তাড়াতাড়ি কথা সারতে বললে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই অনুব্রত বলেন, ‘দেখছেন না কথা বলছি!’ তার পর অবশ্য তাড়াতাড়িই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে গাড়িতে উঠে পড়েন অনুব্রত মণ্ডল।এদিন বোলপুরের কাউন্সিলার, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃতীয়বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। দিল্লিতে ইডি-র সদর দপ্তরে এদিন বিশ্বজ্যোতিকে ম্যারাথন জেরা করা হয়।