পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রটি গোটা দেশেই সক্রিয়। বিভিন্ন আর্থিক এবং আইনি উপদেষ্টা সংস্থার নাম করে অভিনব কায়দায় বিত্তশালীদেরই বোকা বানিয়ে ফাঁদে ফেলা হতো। এই চক্রের মূল অভিযুক্ত রাজীব গুপ্তা এখনও বিদেশে রয়েছেন বলে অভিযোগ। ধৃত সঞ্জীবকে জেরা করে তাঁর নাগাল পেতে চাইছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রে খবর, চিকিৎসক কুণাল সরকারকে বিনিয়োগ করার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন সঞ্জীবের সংস্থা। বলা হয়েছিল, তাঁদের কোম্পানিতে মোটা টাকা বিনিয়োগ করলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রেফারেন্সিয়াল শেয়ার দেওয়া হবে। এমনকী কোম্পানির তরফে চড়া হারে ডিভিডেন্ড দেওয়া হবে। এজেন্টদের কথা মতো কুণাল ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও প্রতিশ্রুতি রাখেনি টিসিজি হ্যামিল্টন নামে ওই সংস্থা। পরে সেই সংস্থাটি নামও বদলে হয় ক্রেড ফোর্স এশিয়া লিমিটেড।
ওই আর্থিক এবং আইনি উপদেষ্টা সংস্থার হোলটাইম ডিরেক্টর ছিলেন সঞ্জীব। ডিরেক্টর পদে রয়েছেন রাজীব গুপ্তা। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণি থানায়। তদন্তে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ দেখে, শুধু কুণাল নন, তাঁর মতো বিশিষ্ট এবং বিত্তশালীদের এ ভাবেই ঠকানো হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও, যখন প্রতারকদের টাকা ফেরতের কথা বলা হয়, তখন ৮০ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয় কুণালকে। কিন্তু তা বাউন্স হয়ে গিয়েছিল। প্রতারক ধরা পড়ার পর টাকা ফেরতের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এ বিষয়ে কুণাল বলেন, ‘অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে, এর ফলে অনেকেই সচেতন হবেন।’