শেয়ালের (Fox Attack) আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে মানুষকে। দিনরাত শেয়ালের আতঙ্কের জেরে ঘর থেকেও বের হতে ভয় পাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুর কোটরা পঞ্চায়েতের ফলদি গ্রামের বাসিন্দারা। তবে সকালের দিকে তেমন একটা সমস্যা না হলেও রাতের দিকে সবথেকে বেশি চিন্তায় পড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেলের পর ঘর থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।

হাইলাইটস
- শেয়ালের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের
- শেয়ালের আতঙ্কের চোটে নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা
- বিকেলের পর প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউই
শেয়াল আতঙ্ক
বিকেল হলেই শেয়ালের আতঙ্কে আর ঘর থেকে বের হচ্ছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। বিকেল হলেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে গ্রামের মধ্যে। বাড়িতে পোষা গোরু,ছাগল, হাঁস, মুরগী তো খাচ্ছেই। তার উপর এখন মানুষ দেখলেও ছাড়ছে না শেয়ালরা। ফলে জমিতে চাষ করতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কোনও রকমে সেখান থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে ঘরে ফিরছেন তাঁরা। যদিও এখনও পর্যন্ত বন দফতরে একথা জানানো হয়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন যে তিনি বিষয়টি বনদফতরে (Forest Department) জানাবেন। এবং যাঁরা শেয়ালের কামড়ে আক্রান্ত হয়েছেন পঞ্চায়েত তাঁদের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আতঙ্কে গৃহবন্দি স্থানীয়রা
গ্রামবাসীদের ভয়ের প্রধান কারণ শিশুদের নিয়ে। বয়স্কদের আক্রমণ করলে তাও চিৎকার করে এলাকার মানুষকে ডাকতে পারবে। কিন্তু, কোনও বাচ্চাকে কামড়ালে তখন কি হবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন স্থানীয়রা। গ্রামের মধ্যে অধিকাংশ বাড়ির শৌচালয় বাইরে। রাতের দিকে বাড়ির বাইরে বেড়াতে হয় আট থেকে আশি সবাইকেই। ফলে সেই সময় শেয়ালের আক্রমণের শিকার হতেই পারেন যে কেউ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও আতঙ্ক বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকায় পাঁচ থেকে ছয়টা শেয়াল ঘোরাফেরা করছে। খাবারের প্রয়োজনেই গৃহস্থের ঘরে ঢুকে পড়ছে তারা। অনেকের রান্নাঘরেও ঢুকে পড়ছে। যাঁদের কামড়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসা করিয়েছেন এবং চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। যত দিন না বনদফতর এলাকা থেকে শেয়াল ধরে নিয়ে যাচ্ছে ততদিন এলাকার মানুষ যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাবেন। অনেকে চাষের জমিতে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। রাস্তায় বের হলে হাতে কোনও কিছু নিয়েই বের হতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ফলদি গ্রাম এখন শেয়াল জ্বরে ভুগছে। এর থেকে কবে রেহাই মিলবে এখন সেই সেই আশাতেই দিন গুনছেন স্থানীয়রা।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ
