স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কিলকিট চা বাগানে (Kilkit Tea garden) ভালুকের আতঙ্কে চা শ্রমিকদের রাতের ঘুম উড়েছিল। শ্রমিকদের একাংশ দাবি করেছিলেন, বাগানে কাজ করার সময় তাঁরা একটি ভাল্লুক দেখতে পেয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর যায়। বনকর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে সেখানে এসে ভাল্লুকের খোঁজে তল্লাশি চালালেনও হদিশ মেলেনি।
কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে ভাল্লুক ধরা জন্য সেখানে খাঁচা পাতেন বন দফতরের কর্মীরা। ১২ ও ১৩ নম্বর সেকশনের মধ্যবর্তী অঞ্চলে খাঁচা পাতা হয়েছিল। শনিবার ভোরে খাঁচার থেকে চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খাঁচার কাছে যেতে চোখ কপালে ওঠে বাসিন্দাদের। তাঁরা দেখতে পান খাঁচার ভিতর একটি চিতাবাঘ এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে। ভাল্লুক ধরার খাঁচায় চিতাবাঘ দেখে প্রাথমিকভাবে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে (Forest Department) খবর দেওয়া হয় বন দফতরে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কিলকোট চা বাগান সংলগ্ন ইনডং চা বাগানে দুটি চিতাবাঘের লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী লড়াইয়ে একটি চিতাবাঘের আহত হওয়ারও খবর মিলেছিল। তবে এদিন ধরা পড়া চিতাবাঘটির শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় সেটিকে গরুমারা জঙ্গলে (Gorumara National Park) ছেড়ে দিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ও জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় চিতাবাঘের দেখা পাওয়া কোনও নতু ঘটনা নয়। চলতি মাসে আলিপুরদুয়ারে মোটরবাইকে চেপে যাওয়ার সময় চিতাবাঘের আক্রমণের মুখে পড়েছিল এক তরুণী। তাঁর উরুর থেকে মাংস খুবলে নিয়ে জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল চিতাবাঘটি।