সভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু বলেন, “CAA-র বিরোধিতার নামে উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। আমি বাববার এই আইনের হয়েও সওয়াল করেছি। সংসদেও এই আইন পাস হয়েছে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা আইনে লেখা নেই। আগামী দিনে এই রাজ্যেও CAA চালু হবে… আপনারা শুভেন্দু অধিকারী, শান্তনু ঠাকুরের ওপরে ভরসা রাখুন। CAA কার্যকর হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি ব্যক্তিগতভাবে NRC চাই, জন্ম নিয়ন্ত্রণ চাই। এই দেশকে বাঁচাতেই হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুক্রবারের সৌজন্য সাক্ষাত যে সাধারণ কর্মী সমর্থকদের ভুল বার্তা দিতে পারে, তা ভালভাবেই বোঝেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে তাই মমতাকে কটাক্ষ করার সুযোগও তিনি হাতছাড়া করেননি। শুভেন্দু বলেন, “আমি শুধু সংসদীয় রাজনীতির সৌজন্যতা দেখিয়েছি। আমার অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি এসে জানান, উনি আমাকে ডাকছেন। আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি একা যাব না, আমার সঙ্গে আরও বিজেপি বিধায়করা যাবে… মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল পরিবারতন্ত্র ও তোষণে রাজনীতি করেন, নরেন্দ্র মোদী বিকাশের রাজনীতি করে। সবাইকে সাক্ষী রেখে বলতে চাই ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। CAA বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করার কাজটাও এই শুভেন্দু করে দেখাবে।”
কয়েকমাস পরই পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটারদের একটা বড় অংশ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু সংসদে আইন পাশ হয়ে গেলেও এখনও CAA চালু না হওয়া মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিনের সভা থেকে আবারও সেই CAA ইস্যুতেই শান দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিজেপি নেতারা।