স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাত থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সেনাকর্মী সুরেশ মাহাতোর ভাইজির বিয়ে। সেই কারণে শনিবার থেকে তাদের বাড়িতে তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানো শুরু হয়। রাত বাড়লে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে আপত্তি তোলা হয়েছিল। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। সেখান থেকে মারপিটে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পরিস্থিতি এমন উত্তপ্ত হয়ে এলাকায় বোমাবাজি শুরু হয়। সুরেশ মাহাতোর পরিবারের অভিযোগ তাঁদের বাড়ির দেওয়াল লক্ষ্য করে বোমা মারা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলাকায় আরও দুটি বোমা পড়েছে। খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় মোমিনপাড়া এলাকায় চরম উত্তেজনা রয়েছে। এমনকী রবিবার সকালের সংবাদমাধ্যমকেও এলাকা ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীদের বিরুদ্ধে। তীব্র উত্তেজনা থাকায় জগদ্দল থানার তরফে সেখানে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুরেশ মাহাতোর বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে টিটাগড় থেকে বেশ কয়েকজন অতিথি এসেছিলেন। সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। সেখান থেকেই মারপিট ও বোমাবাজির সূত্রপাত। যদিও এই ঘটনায় একে অন্যদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। দু’পক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা রেহানা বিবি নামে মহিলা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “বক্সের সাউন্ড কমানোর আবদেন জানানো হলেও তা শোনা হয়নি। উলটে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়েছে। টিটাগড় থেকে লোক এনে অশান্তি পাকানো হয়েছে। একজনের হাতে শিরা কেটে দিয়েছে, আরেকজনের ওপর বোমা মারা হয়েছে। ৩টে বোমা মারা হয়েছে। ওয়াসিম আক্রম নামে স্থানীয় এক যুবক গুরুতর আহত।” অন্যদিকে সুরেশের পরিবারের তরফে বলেন, “যাঁদের বাড়িতে বিয়ের অনু্ষ্ঠান তারা কি কখনও ঝামেলা করে? আমরা বাড়িত বোমা বানাই না যে বোমবাজি করব।”