সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) জেলে থাকায় ‘রাজনীতির ময়দান ফাঁকা’ বলেই মনে করছে BJP। এমতাবস্থায় বীরভূমে ভোটের আগে একের পর এক কর্মসূচি নিয়ে চলেছে তাঁরা। আজ রবিবার মল্লারপুরে BJP-র সভায় উপস্থিত থাকবেন BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও মিঠুন চক্রবর্তী। তারই আগে রবিবার সকালে বোলপুরে ‘মন কি বাত’ কর্মসূচি ছিল BJP-র। যেখানে সুকান্ত মজুমদার মিঠুন চক্রবর্তী সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্বদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। বলাবাহুল্য, বীরভূমের আজকের দুটি কর্মসূচিই মিঠুন চক্রবর্তী কেন্দ্রিক। মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে BJP প্রচারও করেছিল জমকালো। কিন্তু ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে সুকান্ত মজুমদার উপস্থিত হলেও মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন অনুপস্থিত। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি মন কি বাত কর্মসূচিতে যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে BJP কর্মীদের একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই, মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন BJP কর্মী, সমর্থকরা। অনেকেই আশাহত হয়েছেন বলে জানান।
গত কাল আসানসোলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মুখে পড়তে হয়েছিল মিঠুনকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Elections) প্রস্তুতি সভা ছিল আসানসোলের জেলা BJP পার্টি অফিসে। সেখানে রণকৌশলের পাঠ দিতে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে গিয়ে হাজির করেছিলেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু এই দু’জনের সামনেই যুযুধান গোষ্ঠী তুমুল বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, আসরে নামতে হয় সুকান্ত–মিঠুনকে। তাতে সরাসরি মিঠুনকে উদ্দেশ্য করে কর্মীদের বলতে শোনা যায়— “আপনাকে আর কী শোনাব, বিধানসভা নির্বাচনে পর এখানকার সব জেলা নেতা উধাও হয়ে যান। মাঝখানে থেকে আমরা মার খাচ্ছি। আসলে, এখানকার একাধিক নেতা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছেন।”
গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চায়েত ভোটকে (Panchayat Elections) সামনে রেখে BJP-র হয়ে প্রচারে মিঠুন চক্রবর্তী। ময়ূরেশ্বরে তাঁর সফরসঙ্গী BJP রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনুব্রতহীন বীরভূমে তৃণমূলকে কোণঠাসা করে জমি পেতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। রাঢ়বঙ্গে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। বুথস্তরের দুর্বল সংগঠন পঞ্চায়েতে ভালই বেগ দিতে পারে বলে বিলক্ষণ বুঝছেন পদ্ম নেতারা। ড্যামেজ মেরামতে পদ্ম ব্রিগেডের তুরুপের তাস মহাগুরু। তবে সকালের অনুষ্ঠানে মিঠুন চক্রবর্তীকে না পাওয়ায় কিছুটা মুষড়ে পড়লেন BJP কর্মীরা।